মিছিলটি উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে ১নম্বর আসামী সিরাজুল ইসলাম খান রাজু পিস্তল উঁচিয়ে বিএনপিসহ তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের যাকে পাওয়া যাবে তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। এরপরই বিএনপি অফিসে দুটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। সেই সাথে হামলা-ভাঙচুর শুরু হয়। তবে এর আগেই কার্যালয়ে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা পলিয়ে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান। শুধু তাই নয়, ওই কার্যালয়ে টাঙানো শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সহ সকল আসবাবপত্র বের করে রাস্তার উপর এনে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

বগুড়ার আদমদীঘিতে সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস-ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের ১২৫ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় ২০০-২৫০ জনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। রবিবার রাতে আদমদীঘি থানায় উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গত ৪ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরন, ভাঙচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, তার ছেলে বগুড়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ্ধসঢ়;‌ আল মেহেদী বাঁধন, তার স্ত্রী জেলা পরিষদের সদস্য মঞ্জুয়ারা বেগম, ছয় জন ভাইস ও ইউপি চেয়ারম্যান সহ ১২৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ২৫০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকানোর জন্য আসামীরা আদমদীঘি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের করেন।

মিছিলটি উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে ১নম্বর আসামী সিরাজুল ইসলাম খান রাজু পিস্তল উঁচিয়ে বিএনপিসহ তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের যাকে পাওয়া যাবে তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। এরপরই বিএনপি অফিসে দুটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। সেই সাথে হামলা-ভাঙচুর শুরু হয়। তবে এর আগেই কার্যালয়ে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরা পলিয়ে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান। শুধু তাই নয়, ওই কার্যালয়ে টাঙানো শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সহ সকল আসবাবপত্র বের করে রাস্তার উপর এনে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বগুড়া-৩ আসনের সাবেক সাংসদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ এবার ১২৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এর আগে এঁরা সহ ৭৭ জনের নামে যুবদলের এক নেতাও গত ২০ আগস্ট রাতে একটি মামলা করেন।