রংপুর থেকে ঢাকাগামী ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেন বগুড়ার আদমদীঘি রেল স্টেশনে পৌঁছনোর পর দুইটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।  শনিবার দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে আদমদীঘি স্টেশনের এক নম্বর রেললাইনের ৯নম্বর পয়েন্টের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। রবিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে লাইচ্যুত হওয়া দুটি বগি রেখেই ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ফলে ৩ ঘন্টা ভোগান্তী পোহাতে হয়েছে ট্রেন যাত্রীদের।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত আড়াই টার দিকে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস আন্ত:নগর ট্রেনটি আদমদীঘি রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করার সময় ৯নম্বর পয়েন্ট পার হওয়ার পর দুটি বগির বেলিপ্লেট ভেঙে যায়। এতে লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি ঘটে। এরপর রবিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে সেখানে উদ্ধারকারী (রিলিফ) ট্রেন এনে লাইচ্যুত হওয়া ট্রেন থেকে দুটি বগি সরিয়ে রেখে বিকল্প রেললাইন ব্যবহার করে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ সময় ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এদিকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সরিয়ে রাখা দুটি বগি উদ্ধার কাজ চলমান ছিলো।
ওই ট্রেনের যাত্রী রুহুল আমীন বলেন, তিনি রংপুর থেকে সান্তাহার জংশন স্টেশনে আসছিলেন। পথে ট্রেন বিকল হওয়ায় বেকায়দায় পড়েন। মধ্যরাতে কয়েক ঘন্টা ট্রেনের মধ্যে অপেক্ষা করার পর ট্রেনটি না ছাড়ার কারনে ঝুঁকি নিয়েই তিনি পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
আব্দুর রশিদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ঢাকায় তিনি গার্মেন্টেসে চাকুরি করেন। ওই ট্রেনে রংপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। সকালে পৌঁছে তিনি কাজে যোগ দিবেন। কিন্তু পথে ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ৩-৪ ঘন্টা লেট হওয়ায় তিনি সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারবেন না।  
আদমদীঘি রেলওয়ে স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ট্রেনটি আড়াই টার দিকে আদমদীঘি স্টেশন অতিক্রম করার সময় দুটি বগি (কোচের) বেলিপ্লেট ভেঙে যাওয়ায় লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি ঘটে।
বগুড়ার উর্দ্ধতন সহকারি প্রকৌশলী আফজার হোসেন বলেন, রবিবার সকাল ৯টা থেকে ওই স্টেশনে বিকল্প রেললাইন ব্যবহার করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তবে কি কারনে বগির বেলিপ্লেট ভেঙে গেছে সে বিষয়ে তদন্ত টিম কাজ করছে।