বাংলাদেশ দূতাবাস অভিবাসীদের সর্বোচ্চ সেবা প্রত্যয়ে শ্রুত। মধ্যপ্রাচ্য দেশসমূহে বেশি সংখ্যক বাংলাদেশী শ্রমিক বিভিন্ন খাতে কাজ করে থাকেন। ব্যপক শ্রমিক চাহিদা থাকায় নানান উপায় অর্থাৎ বৈধ বা অবৈধ শ্রমিক পাঠায় এজেন্সিগুলো।
যেহেতু বিপুল অর্থের লেনদেন হয় তাতে আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, কুয়েত সহ বিভিন্ন দেশে দক্ষ অদক্ষ শ্রমিক পাঠান।এবং শ্রমিকগণ সঠিক বেতন কাঠামো না পেয়ে স্পনসর থেকে বাইরে গিয়ে অন্যত্র কাজ করেন। তাই তাদের স্বাস্থ্য বীমা, এককালীন, জীবন বীমা এবং অন্যকোন আর্থিক সহায়তা স্পনসর থেকে পায় না। এই ৫ জন শ্রমিকের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হয়েছে।
তাই পাঁচজনেরই মৃতদেহ বাংলাদেশ দূতাবাসের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার সম্পূর্ণ খরচে দেশে প্রেরণ করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন চেষ্টার পর অবশেষে পরিচয় শনাক্ত করা গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজন প্রবাসীর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ। আগামী শুক্রবার মরদেহগুলো বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে ঢাকা ফিরবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই সংক্রান্ত সার্বিক প্রস্তুতি শুরু করেছে আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাস।
আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর হাজরা সাব্বির হোসেন জানান, হাসপাতালের ময়নাতদন্ত বিভাগের দীর্ঘ চেষ্টায় দগ্ধ দেহগুলো শনাক্ত করা গেছে। সোমবার রাত ৩টায় পাঁচ প্রবাসীর মৃত্যুসনদ পাওয়া গেছে। দূতাবাস তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে পাঠাতে বিমানের কার্গো বুকিংয়ের অনুরোধ করেছে। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে এই ৫ প্রবাসীর মরদেহ দেশে পাঠানো হবে।সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এই পাঁচ প্রবাসী কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন কি—না এমন প্রশ্নের জবাবে হাজরা সাব্বির হোসেন বলেন, ‘তারা যেহেতু নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ না করে অন্যত্র কাজ করতেন সেই হিসেবে নিয়োগকর্তার কাছে তাদের কোনো লেনদেন নেই। তাই মরদেহগুলো সরকারি খরচে পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে, গাড়ি দুর্ঘটনার বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন।