ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল করতে এসে গ্রহীতা হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে  দলিল করতে এসে গ্রহীতা  হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।তিনি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কুসুমদি গ্রামের দবির শেখের ছেলে সেনা সদস্য আব্বাস শেখ। অভিযুক্তরা হলেন সাব রেজিস্টার  সুজন বিশ্বাস ও দলিল লেখক সেলিম শেখ। জানা যায়,কুসুমদি সাবেক ৪১ ও বর্তমান ৪৯ নং মৌজা ১৪ শতাংশ ধানি জমি ৫ লক্ষ ৩০ টাকা দিয়ে খরিদ করে। দলিল করতে এসে রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক ও সাব-রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলে সরকার নির্ধারিত ফ্রি এবং লেখকে ধার্য ফি বাবদ ৫ হাজার থেকে সর্বশেষ ১৫ হাজার টাকা দিতে চাইলে তারা রাজি না হয়ে উল্টো খারাপ আচরণ ও হয়রানির করে। মৌজা প্রতি শতাংশ ৯৮ হাজার ২৫১ টাকা হারে ১৪শতাংশে ১৩৭৫৫১৪ টাকা সেলামী মূল্য এর সরকার ফি এক লক্ষ ৩০ হাজার ৬৭৪ টাকা এর জায়গায় ১ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা দাবি করে।  সেনা সদস্য  পরিচয় দিলে দলিল লেখক ৯ হাজার টাকা কম নিতে রাজি হয়। আর সাব রেজিস্টার ২০০০ টাকা কম নিতে চায়।মোট এক লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা কম হলে দলিল হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক দলিল লেখক বলেন,সরকার  নির্ধারিত  ফি চেয়ে সমিতির লাখে চার হাজার টাকা বেশি নেওয়া হয়।এর থেকে ১২০০  টাকা সাব রেজিস্টার স্যারকে বাকী ২৮০০ টাকা সমিতির তহবিলে জমা করা হয়।সপ্তাহ  শেষের সকল লেখকের মাঝে পয়েন্ট অনুসারে ভাগ করে দেয়া হয়। তবে এত টাকা নেওয়া অমানবিক বা জুলুম করা হয়।সমিতির নামে সিন্ডিকেট এর থেকে কবে আমারা রেহাই পাবো। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ৫ আগষ্টের পর অনেক জায়গায় পরিবর্তন হলেও আলফাডাঙ্গা দলিল লেখক সমিতির সিন্ডিকেটে কোন পরিবর্তন হয় নাই। এদিকে সেনা সদস্য আব্বাস বলেন,দলিল লেখক সেলিম ও সাব রেজিস্টার সুজন বিশ্বাস আমার কাছে রেজিস্ট্রি বাবদ ১ লক্ষ  ৮৯ হাজার টাকার চায়।সাবরেজিস্টার বলেন দলিল লিখে নিয়ে আসেন আমি স্বাক্ষর  করে দেব। কিন্তু সমিতিতে কিছু বলতে পারবো না, পরবর্তীতে অনুরোধ করার পরে সেলিম তার স্যারের সাথে কথা বলে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা নিচে দলিল করতে পারবো না বলে জানিয়ে স্যারের সামনে থেকে চলে যায়।তারপরে সাবরেজিস্টার বলে ভাই আমার কিছুই  করার নেই, আপনি এডজাস্ট করে দলিল করে নেন।পরে সমিতির অফিসে সেলিমের সাথে কথা বললে তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ ও হয়রানির করে। দলিল লেখক সেলিম লাইসেন্স নং  বলেন সমিতির নির্ধারিত টাকার বাহিরে কোন  দলিল করলে সেই লেখকের পকেট থেকে ঘাটতি  টাকা  দিতে হয় । আর ওই টাকা অফিসের সাব রেজিস্ট্রার স্যার ও দলিল লেখক এর মধ্যে ভাগ হয়। আমাদের  বাপের দলিল হলেও দলিল লেখকরা ব্যক্তিগতভাবে কম নিতে পারবে না। স্যার কোন পার্টির কাছ থেকে কম নিলে আমাদের কাছ থেকে হিসাব  বুঝে নেওয়ার সময় কম নেয় না। তাই আমরা একটি টাকা কমেও দলিল করতে পারি না। সাব রেজিস্ট্রার সুজন বিশ্বাস বলেন,আমার কাছে সেনা সদস্য এসেছিল। তিনি আমাকে জানান লেখক তার নিকট সরকারি ফিসের অতিরিক্ত টাকা দাবী করেছে।দলিল লিখে নিয়ে আসেন স্বাক্ষর দিবো। আরো বলেছি আমার অফিসের নামে কেউ যদি টাকা দাবী করে আপনি লিখিত অভিযোগ দেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম রায়হানুর রহমান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সেনা সদস্য  অফিসে এসে অভিযোগ করেছিল।রেজিস্ট্রি অফিসে ফোন করেছিলাম আমলে নেয়নি। আমি অল্প কয়েকদিন হয়েছে যোগদান করেছি,তারপর থেকে সাব রেজিস্টার ও দলিল লেখক এর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ পাচ্ছি। আমি উপর মহলে  অভিযোগ  পাঠিয়ে দিয়েছি।