পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং নববর্ষের দীর্ঘ ছুটির পর রাজধানীমুখী কর্মজীবীদের পরিবহনে উপচে পড়া ভীড়। দূরপাল্লার বাস কিংবা ট্রেনের স্টেশন গুলোতে চলছে প্রতিযোগিতা দিয়ে রাজধানীতে ফেরার যুদ্ধ।
ইদের আগে বাস যাত্রীদের জন্য নাম মাত্র কিলোমিটার প্রতি তিন পয়সা ভাড়া কমিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি করি সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রনালয়। তবে বরাবরের মতই এবারো দূরপাল্লার যাত্রীদের কাছে প্রথম পছন্দ ট্রেন।কিন্তু ট্রেনের টিকিট যেন সোনার হরিণ যাত্রা তারিখের দশ দিন আগে টিকিট অনলাইনে দিলেও অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে সব। আসনবিহীন টিকিট ও পাওয়া যাচ্ছে না স্টেশনে, তাই ঝুঁকি নিয়েই যাত্রীরা ফিরছেন জীবিকার তাগিদে।
গুরুত্বপূর্ণ লাইন: তবে মূল ঘটনা এখানেই শেষ নয় নির্ধারিত মূল্যের কয়েক গুণ বেশি টাকায় মিলছে কালোবাজারি টিকিট এছাড়াও ট্রেনে কর্তব্যরতদের কাছেও মিলছে আসন বিহীন টিকিট। এর পিছনে কোন অদৃশ্য হাত কাজ করছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। এছাড়াও টিকিট বিহীন যাত্রীদের জিম্মি করে কর্তব্যরত টিটি বা কক্ষ পরিদর্শকরা হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা কিন্তু এর বিপরীতে মিলছে না কোন রিসিট কপি।
ট্রেনে কর্তব্যরত এসব ব্যাক্তিদের এসব বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা উত্তর দিতে বাধ্য নয় বলে এড়িয়ে যায়।"যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে তাদের কে টাকা না দিলে তারা বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে হেনস্থার ভয় দেখায়, আর আমরাও ফিরতে হবে ঢাকায় তাই বাধ্য হয়ে তাদের সঙ্গে তর্কে যাই না।
"কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে আসা একজন যাত্রীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন," কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসার টিকিট আমযা কোন দিনই পাই না, তবে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার টিকিট সব সময় আমরা পাই। আর কিশোরগঞ্জ স্টেশনে এসে আমরা সব সময় কালোবাজারিদের হাতে টিকিট দেখতে পাই।"সর্ব সাধারণের মনে এই একটাই প্রশ্ন জায়গায় জায়গায় এই টিকিট বাণিজ্যের শেষ কোথায়।