জামালপুরের ইসলামপুরের চরাঞ্চলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে এক ডাকাতের মৃত্যু ও দুই ডাকাত পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। এসময় শুটারগান সহ ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকালে ইসলামপুর থানা কার্যালয়ে এই উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল্লাহ সাইফ প্রেস ব্রিফিং এ জানান, জামালপুরে ইসলামপুরের কুলকান্দি ইউনিয়নের জিগতলা গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত সাত্তার ডাকাতের ছেলে ইসমাঈল অকাত (৩২), তার ভাই ইসা নবী(৪২),শুক্কুর আলী ডাকাত (৩৮),সুরত আলী ডাকাত(৪২),সুলতান ডাকাত((৩৮)সহ একদল ডাকাত অস্ত্র সস্রসহ জিগাতলা এলাকায় অবস্থান করে ইসলামপুরসহ পার্শবর্তী ফুলছরি থানার সাঘাটা থানা এলাকার জমি দখল, খুন, ডাকাতি, চুরিসহ প্রকাশ্যে অপকর্ম করে আসছিল। বিভিন্ন সময়ে ডাকাতদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ জিগাতলা এলাকাবাসীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন দেওয়ানগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পসহ জামালপুর পুলিশ সুপার, গাইবান্দা পুলিশ সুপার, র্যাব, ফুলছড়ি সাঘাটা থানা এলাকায় অভিযোগ জানিয়ে আসতেছিল। অপরাধীদের আস্হানা এলাকাটি দূর্গম এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কোন আইন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দীর্ঘ দিনেও নানা প্রতিবন্ধকতা অভিযান পরিচালনা করতে তাদের আটক করতে পারেনি। দেশের পট পরিবর্তে স্হানীয় সচেতন এলাকাবাসী বিষটি বর্তমান জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পরে জামালপুর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (২৬ডিসেম্বর)সন্ধ্যায় ইসলামপুর থানা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুলকান্দি ইউনিয়নের যমুনার দূর্গমচর জিগাতলা বালুরটিলা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। এসময় এলাকাবাসীর সহায়তায় ইসমাইল ডাকাত(৩২) ও সুরমান আলী(৩৫) কে আটক করে। অন্যন্যরা কৌশল ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ আটককৃত দুইজনকে নিয়ে আসার সময় এলাকাবাসীর উত্তেজিত জনতা ডাকাত সন্দেহ সেতাব আলী (৫৫)কে আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে অভিযানে অবস্থানরত পুলিশ ফিরে গিয়ে গুরুত্ব আহত অবস্থায় সেতাব আলীকে আটক করে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাকাত সেতাব আলী মারা যায়। অভিযানে পুলিশ ডাকাতদের নিকট সক্রিয় একটি শুটারগান সহ ৮ রাউন্ড গুলি ও একটি ছোরা উদ্ধার করে। আটককৃতদের নামে ইসলামপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা এবং অস্র আইনে একটি দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে মামলার ১নং আসামী ডাকাত ইসমাইল (৩২) জামালপুর সদর হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও নিহত ও আটককৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও খুনের অভিযোগে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।