পর্যটন নগরী কক্সবাজারের নবগঠিত উপজেলা ঈদগাঁওয়ের ইসলামপুরে একটি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের নবগঠিত উপজেলা ঈদগাঁওয়ের ইসলামপুরে একটি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকটি দোকান সম্পুর্ণরুপে ভস্মীভূত হয়ে একটি ব্যবহৃত কার গাড়িসহ প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব ব্যবসায়ীরা। পরে স্থানীয় জনতা ও ফায়ার সার্ভিসের দল আগুন নিভাতে সক্ষম হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বুধবার (৪ জুন) গভীর রাতে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিস বাজারস্থ মাষ্টার রশিদুল আলমের মার্কেটে ঘটে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা। এতে রিফাত মোটরস ও ইভেন্ট পুষ্পালয় নামের দোকান ২ টি সম্পুর্ন পুড়ে গেছে। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রিফাত মোটরসের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত নুরুল আমিন ড্রাইভার বলেন, এদিন রাতে তিনি ঘরে ছিলেন। খবর পেয়ে গভীর রাতে দোকানে ছুটে যান। ততক্ষনে আগুনের লেলিহান শিখা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ঘন্টাব্যাপী প্রাণপণ চেষ্টা করে নিরুপায় হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। রামু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তিনি আরো বলেন, মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারের ব্যবহৃত কার গাড়ি (যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো গ ১৩-৫৯৩৩) ঐ সময় দোকানের ভিতর ছিল। সে সাথে মোটর পার্টস, শ্রমিক সংগঠন ও সমবায় সমিতির  কাগজপত্র, ট্রেনিং সেন্টারের যাবতীয় ডকুমেন্ট পুড়ে গেছে। এতে তার অনুমানিক  ৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি এটি পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়ে তাকে সর্বস্ব করা হয়েছে বলে দাবী করেন।

অপরদিকে নতুন অফিস ইভেন্ট পুষ্পালয়ের মালিক রমজান মোবারক বলেন, তার দোকান থেকে কিছুই বের করা যায়নি। চোখের পলকেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তার প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে খবর পেয়ে ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম চেয়ারম্যান,  ঈদগাঁও থানার এসআই মুজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খোঁজখবর নেন।  এসময় বাজার কমিটির সদস্য মনজুর আলম, ইয়াছিন আরফাত জনি, নুরুল আমিন ড্রাইভার ও রমজান মোবারক সাথে ছিলেন। প্রতিবছর পুড়ে ঈদগাঁও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রামের ঘরবাড়ি আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটলেও উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী একটি ফায়ার সার্ভিস স্থাপনে কোন সরকারের টনক নড়েনি। ফলে উপজেলার কোন স্থানে আগুন লাগলে কক্সবাজার,রামু কিংবা চকরিয়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের দল এসে আগুন নেভাতে হয়। কিন্তু ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখায় নিঃস্ব হয়ে যায় অনেক পরিবার। তাই উপজেলাবাসীর জানমালের নিরাপত্তায় দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের দাবি সচেতন মহলের।