কোরবানির ঈদ মানেই দা, ছুরি, বটি, চাপাতিসহ নানা রকম জবাইয়ের সরঞ্জামের চাহিদা। সেই চাহিদা মেটাতে ভোলার কামাররা দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। শহরের কালিনাথ রায়ের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে কামারশালাগুলোতে টুংটাং শব্দে চলছে দা-ছুরি তৈরির কাজ।
তবে কামারদের মুখে নেই আগের মতো আনন্দ। তারা জানাচ্ছেন, এখন আর তেমন বিক্রি নেই। কয়লা ও লোহাসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ হচ্ছে না বললেই চলে।
কামার ইব্রাহীম বলেন, ‘‘সারা বছর তেমন কাজ পাই না। ঈদের সময়ই একটু আয় হয়। কিন্তু খরচও বেড়েছে। আগের মতো লাভ হয় না। তারপরও বাপ-দাদার পেশা, ছাড়তেও পারছি না।’’
তিনি আরও জানান, পশু জবাইয়ের ছুরি ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দা ৬০০ থেকে ৯০০, বটি ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কাজের লোকের সংকটও রয়েছে।
কামাররা আক্ষেপ করে বলেন, কামারপেশাকে ডিজিটাল সুবিধার আওতায় না আনার ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে পেশা পরিবর্তন করছেন।
ক্রেতারাও বলছেন, ঈদে সরঞ্জামের দাম কিছুটা বেশি হলেও কোরবানির জন্য এসব তো লাগবেই। তবে এখন কোরবানির পশু কেনার চেয়ে বেশি সময় লাগছে দা-ছুরি তৈরি করতে।
ঈদের আগে খানিকটা প্রাণ ফিরে পেলেও সরকারি সহায়তা ছাড়া কামারশিল্পের অস্তিত্ব রক্ষা কঠিন হয়ে উঠছে বলেও মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।