বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) এর ভিসি অধ্যাপক ড.সুচিতা শরমিন এর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) এর ভিসি অধ্যাপক ড.সুচিতা শরমিন এর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।চলমান আন্দোলনের বিষয়ে উর্ধ্বতন থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় আগামীকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ বঙ্গ অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিল্ডিং ১ এর নিচ তলা(গ্রাউন্ড ফ্লোর) এ আয়োজিত ছাত্র-শিক্ষক সংহতি সমাবেশ থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ,"আমরা ভিসি সুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে আজ ২৮ তম দিনে এসে উপনীত হয়েছি। এই বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষকে অবহিত করলেও তারা এ বিষয় কোনো ভ্রুক্ষেপ করেন নি।আমাদের এই আন্দোলনের জন্য যদি সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাহলে এর জন্য দায়ী থাকবেন রাষ্ট্র পক্ষ।"
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ভূমিকা ভূমি বলেন,"আমাদে দাবি একটাই, যত দ্রুত সম্ভব এই ভিসিকে অপসারণ করতে হবে। এই দ্রুত সময় যদি দীর্ঘায়িত হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।"
আন্দোলনরত আর এক শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন বলেন, "আমরা এতদিন শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি-দাওয়া জানিয়ে আসছিলাম, এমনকি উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিও শান্তিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করেছি। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিগুলোর প্রতি কোনো কর্ণপাত করছে না। এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার আগামীকাল দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। আগামীকাল দুপুর ২টার মধ্যে যদি আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেওয়া হয়, তবে আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দক্ষিণাঞ্চলকে অচল করে দেব।"
আন্দোলনরত আর এক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন," আপনারা জানেন আমরা আমাদের বোন জিমির চিকিৎসার জন্য ভিসি ম্যামের কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম, তার দপ্তরে বার বার গিয়েও তার কাছ থেকে কোনো ধরনের সাহায্য পাই নি।আজ আমার বোনটি পৃথিবীতে নেই কিন্তু যে ভিসি শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা না দেখে ক্যাম্পাস ছেড়ে ঢাকা গিয়ে থাকবে, আমরা এরকম ভিসি চাই না।আমরা চাই তিনি ঢাকা ই থাকুক কিন্তু পদত্যাগ করে। বিশ্ববিদ্যালয় টিকে তিনি ফ্যাসিস্ট দের আড্ডাখানায় পরিনত করেছেন। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যোগ্য নন,অনতিবিলম্বে এই ভিসিকে তার পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।"
কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, "এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী উপাচার্যের স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে কেউই ভালো নেই। এই ফ্যাসিস্ট মনোভাবের স্বৈরাচারী ভিসি যদি বহাল থাকেন, তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয়ে যাবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষার স্বার্থে আমরা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের পাশে আছি।"