বাংলাদেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে মাত্র ১৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা হিমালয় পর্বতমালার কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ আপনাকে মোহিত করতে বাধ্য করবে। এর রূপ আপনাকে দিনের একেক সময় একেক রকমের দিয়ে থাকবে। আবার একেক স্থান থেকে এর রূপ একেক রকমের হয় । উত্তরবঙ্গের সমতল ভূমি থেকে ফসলের জমি, নদী-নালা, গ্রামীণ জীবনযাত্রার সাথে এর সৌন্দর্য্য অবশ্যই অন্যরকম বা অতুলনীয় যা এক অনুভূতির জন্ম দেয়। মনে হয় স্বাভাবিক এক জীবনের ওপারে রূপকথার জগতের এক জগৎ, কিন্তু রুপকথার জগত কল্পনীয় কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘা বাস্তব দৃশ্য।
সকালে সূর্যোদয়ের সাথে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার অনুভূতি অতুলনীয়। সূর্যের প্রথম আলো যখন চূড়া স্পর্শ করে তখন এর বর্ণ হয় টুকটুকে লাল। দেখতে দেখতেই সেই আলো অন্যান্য পর্বত চূড়া স্পর্শ করে। সময় বাড়ার সাথে সাথে এর রঙ এবং রূপ পরিবর্তন হতে থাকে এবং এর রুপ অতুলনীয় হয়ে যায় । সূর্যাস্তের সময়েও এর রূপ খুব উপভোগ্য করার মতো হয়ে থাকে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর বিভিন্ন জায়গা থেকে এর রূপ ভিন্ন হয়ে থাকে। তেঁতুলিয়া থেকে এর রূপ একরকম আবার বাংলাবান্ধায় গেলে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর দেখাই যায় না কারণ সামনের পাহাড় দিয়ে ঢেকে যায়।
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার থেকেও বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখলে মনে হবে যে এর সামনে কোনো পাহাড় পর্বত নাই আবার যতই ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার দিকে যাবেন ততই কাঞ্চনজঙ্ঘা সুস্পস্ট হতে থাকবে এবং সামনের পাহাড় দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা অনেক অংশ মিলিয়েও যাবে যায় অনেক সময়। সাধারণত বাংলাদেশের উত্তরের জেলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দেখা যায়। কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় দৃশ্য দেখার অনুভূতির কথা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। নিজ মাতৃভূমি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার যে অনুভূতি তা আমার কাছে বুক ভেতর চিনচিনে অনুভূতির মতো হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পঞ্চগড় জেলায় আসে পর্যটকরা। কাঞ্চনজঙ্ঘা নিজ চোখে অনুভব করার জন্য।