ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জিৎ চন্দ্র মোহন্ত বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শুধুমাত্র গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য হন। নিয়ম অনুযায়ী তিনি পরের বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে শুধুমাত্র গণিত বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। তিনি এ বছর গণিত পরীক্ষা দেন। কিন্তু অনলাইনে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, তিনি গণিত এবং কৃষিশিক্ষা উভয় বিষয়েই ফেল করেছেন। অথচ তার প্রবেশপত্রে শুধুমাত্র গণিত বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কথাই উল্লেখ ছিল।
এই অপ্রত্যাশিত ফলাফলে হতাশ জিৎ বলেন, আমি গত বছর শুধু গণিতে ফেল করেছিলাম, তাই এ বছর শুধু সেই বিষয়েরই পরীক্ষা দিয়েছি। কৃষিশিক্ষা পরীক্ষা তো আমি দেই-ই নি। তাহলে কীভাবে সেই বিষয়ে ফেল দেখানো হলো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। এখন আমার কী হবে, তা নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীকর্ণদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, এটি সম্ভবত বোর্ডের কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ঘটেছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে। আমরা এর আগেও এমন ছোটখাটো ভুল হতে দেখেছি এবং সেগুলো পরে সংশোধন করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছি। এটি একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের প্রশ্ন। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানাব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব যাতে জিৎ তার সঠিক ফলাফল ফিরে পায়।