শেরপুরে ক্রেতা না পেয়ে আলোচিত ‘লায়ন’ কে নেয়া হয়েছে গাবতলীর হাটে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে শেরপুরে ব্যপাক আলোচনায় এই বিশাল ষাঁড়

শেরপুরে ক্রেতা না পেয়ে আলোচিত ‘লায়ন’ কে নেয়া হয়েছে গাবতলীর হাটে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে শেরপুরে ব্যপাক আলোচনায় এই বিশাল ষাঁড়। চাল-চলন রাজা সিংহের মতো বলে মালিক শখ করে নাম রেখেছেন ‘লায়ন’। ৩৫ মণ ওজনের লায়নের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলীতে তোলা হবে ষাঁড়টি। শেরপুরে ষাঁরটির গ্রাহক না পেয়ে নেয়া হয়েছে গাবতলীর বড় হাটে। শেরপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোছা. নুরজাহান বেগম ঝর্ণার মেয়ে মৌসুমী হোসাইন মিতু ৪ বছর লালন-পালন করেন শাহিওয়াল জাতের এই বিশাল ষাঁড়টি। মিতুকে সহযোগীতা করেন তার মা। কলেজ পড়ুয়া ছেলে মাহবুবুর আবিদ রাফি ও ভাই নাজমুল হোসেন মিলন। জানা গেছে, ‘লায়ন’র জন্ম মিতুর বাড়িতেই। দেশি জাতের সঙ্গে শাহিওয়াল-ফ্রিজিয়ান ক্রসে লায়নের জন্ম হয়। লালচে রঙের ষাঁড়টির উচ্চতা ৬৬ ইঞ্চি। ওজন ৩৫ মণ। দাঁত ছয়টি। শেরপুর জেলার সবচেয়ে বড় গরু এটি। বিশালাকৃতির হলেও অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির। মালিকের কথার বাইরে যায় না। খড়, ভুসি, খুদের ভাত, কলা, কাঁঠাল, শাক-সবজি, ঘাস, চালের কুঁড়া, খৈলসহ প্রাকৃতিক খাবারে মোটাতাজা করা হয়েছে। ষাঁড়ের মালিক মৌসুমী হোসাইন মিতু  বলেন, ৪বছর যাবৎ গরুটি লালন-পালন করছি। খুব শান্ত স্বভাবের গরু এটি। বনের রাজা যেমন ‘লায়ন’, তেমনি আমাদের বাড়ির রাজা এই লায়ন গরুটি। তাই আমার মা শখ করে নাম রেখেছেন ‘লায়ন’। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করেছি লায়নকে। প্রতিদিন তার পেছন কমপক্ষে ৭০০ টাকা খরচ হয়। এবার ঈদে হাটে তুলে ১৫ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। মিতুর ছেলে রাফি বলেন, ‘লায়নকে’ আমি নিজের ভাইয়ের মতো আদর করে বড় করেছি। বাড়ি থেকে আজ ঢাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছি। এজন্য সবারই অনেক কষ্ট হচ্ছে। ‘লায়নকে’ আমাদের পরিবারের সদস্যই ভাবতাম। ষাঁড়টির ন্যায্য দাম পাবো বলে আশা করছি। তিনি বলেন, ১৫ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। আলোচনা সাপেক্ষে দাম কম বেশী হবে। কোরবানির হাটে এটি সাড়া ফেলবে বলে সবার বিশ্বাস। শেরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ কান্তি দত্ত  বলেন, গরুটিকে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। গরুর মালিক নিয়মিত পরামর্শ নিয়েছেন। কোরবানির জন্য এটি উপযুক্ত।