পর্যটন নগরী কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদনগরের পানিরছড়া-ভারুয়াখালী রেলক্রসিংয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে গেছে সিএনজি অটোরিক্সা।

এতে ঘটনাস্থলেই ৫ আরোহী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে একটি শিশু, দুই নারী, একজন পুরুষ যাত্রী এবং সিএনজি চালক। প্রতিবাদে ট্রেন আটকে দিয়েছে বিবক্ষু জনতা।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিক্সাটি পানিরছড়া-ভারুয়াখালী সড়কের রেললাইন পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামগামী একটি ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ট্রেনের প্রচণ্ড ধাক্কায় সিএনজিটি ছিটকে পড়ে এবং মুহূর্তেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে রেললাইনে অবস্থান নিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। তারা রেল কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দীর্ঘ সময় ধরে রেললাইন অবরোধ থাকায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রশিদনগরের এই রেলক্রসিংয়ে দীর্ঘদিন ধরে কোনো গেইট বা গেইটম্যান নেই। ফলে প্রায়ই এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বারবার অবহেলা করে আসছে।
নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়।
ঘটনার পর রামু থানা পুলিশ এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তের আশ্বাস দেন।
এই রেলক্রসিংয়ে অবিলম্বে গেইট স্থাপন ও গেইটম্যান নিয়োগ করতে হবে। নয়তো জনদুর্ভোগ ও প্রাণহানি বন্ধ হবে না বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।