এর আগে গ্রামের অসহায় নারীদের কাছ থেকে সরকারি বরাদ্ধের চাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শার্শার উলাশী ইউনিয়ন বিএনপির চার কার্মীর নাম প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন।
গ্রেফতারকৃত বিএনপি কর্মীরা হলেন, শার্শার ধলদাহ গ্রামের রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর বিশ্বাস ও মোসলেম বিশ্বাসের ছেলে লালটু বিশ্বাস।
উলাশী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক সমবায় কর্মকর্তা আব্দুর রাশেদ জানান, উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের ধলদা মোড়ে ভিডব্লিউভি তালিকাভুক্ত প্রত্যেক নারী সদস্যকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বস্তা করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দপ্রাপ্ত চাল নিয়ে নিজ দায়িত্বে ভ্যান যোগে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় ধলদা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ইয়ানুর, রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে মিজানুর বিশ্বাস, সুরত আলীর ছেলে মশিয়ার এবং আতিয়ার বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল মোসলেম বিশ্বাসের ছেলে লাল্টু বিশ্বাস ভ্যান থামিয়ে দুই থেকে তিন বস্তা করে চাল ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে এবং এ সংক্রান্তে বিভিন্ন অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান নেদা জানান, অভিযুক্তরা কেউ তার লোক না। কেবল বিএনপি পরিবারের সদস্য। তাদের দলে কোন পদও নেই। চাল ছিনিয়ে নেবার অভিযোগ শুনার পর শুক্রবার সকালে গ্রামে দলের সভা ডাকা হয়। পরে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে সব ধরনের সহযোগীতা করা হয়।
এদিকে স্থানীয় একটি সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন যাদের বিরুদ্ধে চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে ওরা উলাশী ইউনিয়ন বিএনপির ৭ নং ওয়ার্ড এর সাধারন সম্পাদক আক্তারুজ্জামান এর অনুসারি। সুত্রটি দাবি বলে তারা চাল ছিনিয়ে নিজেরা খাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না। দীর্ঘদিন যারা সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে হতদরিদ্ররা বঞ্চিত তাদের মাঝে বিতরন করার উদ্দেশ্য এ কাজ করেছিল।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব কে.এম বরিউল ইসলাম জানান, সরকারি চাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দুই জনকে গ্রেফতার করে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতচাল নারীদের ফেরত দেওয়া হয়েছে।