কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালীতে বেপরোয়া গতির সীমান্ত পরিবহনের কক্সবাজার জ ১১-০৩৮৭ নম্বরধারী একটি বাসের ধাক্কায় রিমু আক্তার নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী নিহত হয়েছে।
রবি বার (২৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে পালংখালী পেট্রোল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমু স্থানীয় খাদিজাতুল কোবরা বালিকা মাদ্রাসার ছাত্রী এবং সাবের আহমদ সওদাগরের কন্যা। এ ঘটনায় তার এক সহপাঠীও গুরুতর আহত হয়। আহত ছাত্রী  কে আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, দ্রুতগতির বাসটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা পার হতে যাওয়া দুই মাদ্রাসা ছাত্রীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনা স্থলে একজন প্রাণ হারান এবং অপর জনকে আশংকা জনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা বাস ও চালক এবং হেলপার কে আটক করে এবং পুলিশে খবর দেয়।

শাহপুরী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-শহর ও যান) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার জার্নালকে বলেন, “বাসটি জব্দ করা হয়েছে। চালক ও হেলপারকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”

এদিকে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত রিমুর সহপাঠী, শিক্ষক, এলাকাবাসী এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চলছে শোক ও ক্ষোভ। তারা দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন । একই দিন সকালে টেকনাফের বাহারছড়া  ইউনিয়নের মেজর সিনহা চত্বরের কাছে মেরিন ড্রাইভ সড়কে দূর্ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছে। এতে আরো ৫ জন আহত হয়েছেন।

টেকনাফ থানা পুলিশ জানিয়েছে, রোববার সকাল ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. পাতভেজ মোশারফ (১৯) পেকুয়ার মগনামার বাসিন্দা আবুল ফয়েজের ছেলে। পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ ইলিয়াস উদ্দিন জানান, সিএনজি ও মটর সাইকেল সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। পারভেজ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সাথে তার আরেকজন বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন। সে চকরিয়ার ধোয়াখালীর বাসিন্দা এবং নাম সাঈদী।

এঘটনায় সিএনজিতে থাকা আরো ৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। নিহত এবং আহতরা কয়েক ঘন্টা ঘটনাস্থলে পড়ে ছিলো বলে জানান ইলিয়াস উদ্দিন।

পরে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে।