অভিযোগপত্র সুত্রে জানা যায়, উপজেলার নান্দিনা কামালিয়া গ্রামের মোন্নাফ ভুঁইয়ার মা মনোয়ারা বেগমকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত বিনা পারিশ্রমিকে আয়া পদে কাজ করান ম্যানেজিং কমিটি। কিন্তু তার বয়স জটিলতার কারণে তিনি তার পুত্রবধুকে চাকরি দেবার সুপারিশ করেন। মনোয়ার বেগমের সুপারিশে পুত্রবধুকে চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতিতে তাদের কাছ থেকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম কামাল ও প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল আলম ঝন্টু বিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য নগদ ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে স্থায়ী নিয়োগের জন্য আরও ১০ লক্ষ টাকা দাবি করলে সেই টাকা না দিতে পারায় তাকে না জানিয়ে গোপনে নিয়োগ সম্পূর্ণ করে ম্যানেজিং কমিটি।
এব্যাপারে নান্দিনা কামালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল আলম ঝন্টুর সঙ্গে তার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম কামাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়োগের ব্যাপারে কোন অর্থ লেনদেন করা হয়নি। সরকারি নীতিমালা মেনেই নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকমান আলী জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর নান্দিনা কামালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, আয়া ও নিরাপত্তা প্রহরি পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
সেখানে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ পেয়েছি। এব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নিয়োগে অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কেউ জড়িত নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা সুলতানা জানান, নান্দিনা কামালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে কর্মচারি নিয়োগ দেবার অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।