লিখিত পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সত্বেও নিয়োগ বোর্ডের কতিপয় অসাধু সদস্যরা তাকে নিয়োগ না দিয়ে উৎকোচ এর বিনিময়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার কথিত সনদধারী মাহবুবাকে আয়া পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার সমশিরা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়া পদে নিয়োগ বাণিজ্যির অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার দুপুরে কালাই প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন ওই প্রতিষ্ঠানে আয়া পদে নিয়োগ বঞ্চিত  আবেদনকারী খাদিজা সুলতানা। খাদিজা সুলতানা একই উপজেলার বালাখুর গ্রামের লিটন রানার স্ত্রী। এ সময় খাদিজার স্বামী ছাড়াও  সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা আনিসুর রহমান, শ্বশুর মোফাজ্জল হোসেন, তার স্বামী লিটন। খাদিজা লিখিত অভিযোগে জানান, গত ২০২২ সলের ১৮ জুলাই সমশিরা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায়  আয়া পদে আমি সহ ৮ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করি।  

লিখিত পরীক্ষায় আমি প্রথম স্থান এবং মাহবুবা বেগম নামে অপর প্রার্থী দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ হলেও আমাকে নিয়োগ না দিয়ে ভুয়া ও জাল সনদের অষ্টম শ্রেণি পাসের মাহবুবাকে আয়া পদে উৎকোচের বিনিময়ে নিয়োগ দেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আব্দুল কাদের মুকুল,   প্রধান শিক্ষক সোহানুর রহমান সোহান, কালাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মনোয়ারুল হাসান ও নিয়োগ বোর্ডের প্রধান জেলার পাঁচবিবি লালবিহারী  পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম।

এসময় খাদিজা নিয়োগ পরীক্ষার খাতা,  নিকটতম প্রার্থী মাহবুবার শিক্ষাগত যোগ্যতার  দুইটি ভুয়া সনদ, নিয়োগ রেজুলেশনে দুইজন সদস্যের পক্ষে জাল স্বাক্ষর সম্বলিত রেজুলেশনের ফটোকপি উপস্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে খাদিজা এসব তথ্য উপস্থাপন করে অভিযোগ করেন, লিখিত পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সত্বেও নিয়োগ বোর্ডের কতিপয় অসাধু  সদস্যরা তাকে নিয়োগ না দিয়ে উৎকোচ এর বিনিময়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার কথিত সনদধারী মাহবুবাকে আয়া পদে নিয়োগ দিয়েছেন। তাই মাহবুবার নিয়োগ বাতিল করে তাকে নিয়োগ দিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।

সমশিরা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহানুর রহমান বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এছাড়া জাল সনদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সমশিরা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের মুকুল বলেন, খাদিজা সুলতানা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণেদিত। এ ব্যাপারে কালাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মনোয়ারুল হাসান বলেন নিয়োগপ্রাপ্ত মাহবুবা বেগমের অষ্টম শ্রেণি পাশের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে নেয়া জাল সনদ যাচাই করতে হবে তারপর জানতে পারব।