যে সময়ে আমার নামে জমি বিক্রির কোবলা দলিল দেখানো হয়েছে, সে সময় আমি ও আমরা সৎ ভাই আবু সায়েম নাবালক ছিলাম। তাছাড়া ওই দলিলের প্রকৃত মালিক আবু সায়েম পূর্বেই মারা গেছেন।

কালাই উপজেলার পুনট পাঁচপাইকা গ্রামের মৃত আয়েন উদ্দিন ফকিরের স্ত্রীর নাবালক ছেলের জমি দ্বিতীয় স্ত্রী আনোয়ারা বিবির ছেলে মৃত আবু সায়েম হোসেনের নামে একটি ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে তার বড় ভাই ছানোয়ার হোসেন এক একর ৫৮ শতক জমি জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছেন এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বড় ছেলে বেলাল উদ্দিন ফকির। সোমবার দুপুরে কালাই প্রেসক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সময় তার স্ত্রী ও দুই ছেলে উপস্থিত ছিলেন।  সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বেলাল উদ্দিন ফকির বলেন, তার বাবা মৃত আয়েন উদ্দিন ফকির জীবিত অবস্থায় গত ১৯৭৪ সালের ২ ডিসেম্বর ৮০৮৪ নং একটি দলিল মুলে তৎকালীন ক্ষেতলাল সাব-রেজিস্ট্রার অফিসমূলে আমার ও সৎ ভাই ছানোয়ার হোসেনের নামে তিন একর ১৬ শতক জমি লিখে দেন।

পরবর্তীতে আমার বাবা ও মা দুজনেই মৃত্যু বরণ করেন। এমনকি সৎ মা আনোয়ারা বিবি গত বছর মারা গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে যে যার মত করে অংশ অনুযায়ী আমরা বাবার জমি ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ করে আমার সৎ ভাই ছানোয়ার হোসেন উক্ত জমির একটি ভুয়া কোবলা দলিল তার ছোট ভাই ও আমার সৎ ভাই সায়েম উদ্দিনের নামে বের করেন। অথচ সায়েম উদ্দিন ১৯৮৯ সালে ৯ বছর বয়সে পুকুরে ডুবে মারা গেছেন। অথচ ওই দলিলে আমাকে বিক্রেতা হিসেবে দেখানো হচ্ছে। যে সময়ে আমার নামে জমি বিক্রির কোবলা দলিল দেখানো হয়েছে, সে সময় আমি ও আমরা সৎ ভাই আবু সায়েম নাবালক ছিলাম। তাছাড়া ওই দলিলের প্রকৃত মালিক আবু সায়েম পূর্বেই মারা গেছেন। 

ভুয়া দলিলের বিষয় জানার পর ওই দলিল রোধ নিয়ে আমি আদালতে মামলা করি। নিম্ন আদালত মামলায় আমাকে ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত করেছে। আমি মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে ন্যায় বিচার পেতে সিভিল রিভিশন দায়ের করেছি। মামলার এমন রায়ের পর থেকে আমি পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। অনবরত আমার সৎ ভাই আমিসহ পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি বাবার বসতবাড়ী থেকে আমাকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমি পরিবার নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ী উপজেলার রাঁধানগর গ্রামে বসবাস করছি।   তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের জমি রক্ষাসহ ওই ভুয়া দলিল এক্সপার্টের মাধ্যমে আসল রহস্য উদঘাটন করার দাবী তুলে নিরাপত্তা লাভের জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত সৎ ভাই ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। নিম্ন আদালত আমার পক্ষে রায় প্রদান করেছেন। এর বাহিরে বলার কিছুই নেই।