কুমিল্লা-৪ আসনের (দেবিদ্বার) সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক জানায়, সম্পদের পরিমাণ জ্ঞাত আয়ের চেয়ের বেশী। অবৈধ উপায়ে তিনি সম্পদ অর্জন করেছেন। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মোঃ আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, অভিযোগ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসানকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় দুর্নীতি কমিশন থেকে আরও অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, আবুল কালাম আজাদ ব্যাংক থেকে শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা বিদেশে পাচার করেছেন। তিনি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। গুলশান, বনানী ও উত্তরা এলাকায় অভিজাত ফ্ল্যাট ও প্লট রয়েছে তার মালিকানায়, যা দুর্নীতির অর্থেই ক্রয় করা হয়েছে।

আবুল কালাম আজাদ পূর্বে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েই নির্বাচন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে এবং তিনি জয় লাভ করে নৌকা প্রতিক নিয়ে পরবর্তীতে প্রায় ১০ মাস মেয়াদ থাকা অবস্থায় তিনি পদত্যাগ করে ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হন সেখানে জয় লাভ করে ৫ই আগষ্ট স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর তিনিও দেশের বাহিরে চলে গেছেন। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ থেকেও ৪ই আগস্টে তাকে বন্ধুক হাতে ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে গুলো চালানোর অভিযোগ রয়েছে। 

দুদকের সূত্র জানায়, তিনি ঢাকায় বসে আরও কিছু দুর্নীতিবাজ সাবেক ও বর্তমান এমপিদের নিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেট অর্থ পাচার, টেন্ডার বাণিজ্য, প্রশাসনের ওপর প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন এবং বিভিন্ন জায়গায় ভূমি দখলের মতো অপরাধে যুক্ত ছিলেন। আবুল কালাম আজাদের নামে ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ। এমনকি বিদেশেও একাধিক ব্যাংক হিসাব ও সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।