কুড়িগ্রামে দুর্যোগ মেকাবিলায় গ্রামিণ ও শহরের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লাইট হাউজ

কুড়িগ্রামে দুর্যোগ মেকাবিলায় গ্রামিণ ও শহরের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিচালনা করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লাইট হাউজ।
দুর্যোগ প্রবণ কুড়িগ্রাম জেলায় ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে জেলার ৫টি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নে ৭০জন স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ প্রদান করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে দুর্যোগ প্রবণ এলাকার সুবিধাবঞ্চিত ঝুঁকিপ্রবণ নারী, কিশোরী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। দুর্যোগকালিন সময়ে জেন্ডার সহিংসতা হ্রাসে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত নারী, কিশোরী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিরাপত্তা মোকাবিলায় সিটিজেন জার্নালিজমের উপর ওরিয়েন্টেশন প্রধান করা হয়। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় পলিসি বাস্তবায়ন বিষয়ক টেলিভিশন সংলাপ এবং এ বিষয়ক ফেলোশীপ প্রদান করা হয়। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত ৯০জন গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দুর্যোগকালিন জেন্ডার সংবেদনশীল ও সহিংসতা বিষয়ক রিপোর্টিংগুলো প্রচারে সহযোগিতা নেয়া হয়।
প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবক রাকিবুল ইসলাম রাফি বলেন, লাইট হাউজ সংস্থার মাধ্যমে এবারই প্রথম আমি প্রশিক্ষণ নিয়ে দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় আক্রান্ত পরিবারকে কিভাবে সহায়তা এবং অ্যাপস এর মাধ্যমে তথ্য পৌছে দেয়া যায় তা ব্যবহার করেছি ।
স্বেচ্ছাসেবী রুবাইয়া ইসলাম কুরসি বলেন, দুর্গম এলাকা কভারেজের জন্য আমাদের আরও স্বেচ্ছাসেবক দরকার।  প্রয়োজনে এলাকার প্রাইমারী, হাই স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসার শিক্ষকসহ মসজিদের ঈমামদেরও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা যেতে পারে।
লাইট হাউজ কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের (গবেষণা ও প্রশিক্ষণ) পরিচালক যুগ্ন সচিব নাহিদ সুলতানা মল্লিক, উপসচিব সানজিদা ইয়াসমিন, কমিউনিকেশন ও মিডিয়া স্পেসালিষ্ট সৈয়দ আশরাফ উল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), উওম কুমার রায়, দৈনিক আজকালের খবর সম্পাদক ফারুক আহমেদ তালুকদার এবং লাইট হাউজের নির্বাহী প্রধান হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্ধ করা সম্ভব নয়। প্রকৃতি তার নিজের খেয়ালে চলে। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করার শক্তি যেমন মানুষের হাতে নেই তেমনি জানা নেই আত্মরক্ষার কৌশলও। তবে দুর্যোগ মোকাবিলা করার প্রস্তুতি ও সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করলে অনেক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এজন্য গণসচেতনতা যেমন দরকার, তেমনি দরকার ঝড়-জলোচ্ছাস ও বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো অবকাঠামো নির্মাণ, উঁচু বাঁধ তৈরি। একই সঙ্গে টেকশই দুর্যোগ মোকাবিলা অনেকটাই নির্ভর করছে আমাদের কর্মকান্ড ও প্রকৃতি ভিত্তিক সমাধানের ওপর কতটা জোর দিচ্ছি।
লাইট হাউজের নির্বাহী প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন,দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি কুড়িগ্রামে সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে প্রকল্পটি দীর্ঘমেয়াদি হলে এলাকার স্থায়ীভাবে উন্নয়ন করা সম্ভব বলে মনে করছি। তাই প্রকল্পটি চলমান রাখতে দেশি এবং বিদেশী দাতা সংস্থার কাছে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।#