বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং ২৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই মেডিক্যাল ক্যাম্পে সকাল থেকেই ভিড় জমে স্থানীয় দুঃস্থ, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ৮৫০ জন রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করেন। আয়োজকদের মতে, পুরো দিনে সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ক্যাম্পটি শুধু চিকিৎসা সেবার আয়োজন ছিল না এটি ছিল এক মানবিকতার স্পর্শ। অনেকেই এসেছেন দীর্ঘদিনের অসুখ নিয়ে, কেউ এসেছেন সন্তানকে নিয়ে, কেউ বা এসেছেন ঔষধ কেনার সামর্থ্য না থাকায়। এখানে তারা পেয়েছেন শুধু ওষুধ নয়, পেয়েছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মনোযোগ, আন্তরিকতা ও সহানুভূতি।
চিকিৎসক দলের নেতৃত্বে ছিলেন লে. কর্নেল এ. কে. এম রাশেদ উল হাসান (ডিও, এফসিপিএস)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেজর মোঃ খাদেমুল হাসান রাজন (সার্জারি বিশেষজ্ঞ), মেজর মেরিয়া মুনমুন (মেডিসিন), মেজর তারকা (চর্ম ও যৌন রোগ), মেজর ফারহানা সুলতানা (সিভিল চিকিৎসক), ডা. সালেহ আহমেদ (এমবিবিএস) এবং ক্যাপ্টেন সাদিয়া ইসলাম (মেডিক্যাল অফিসার)। সার্বিক সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন ১৫ ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ রকিব উদ্দিন।
চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষের কণ্ঠে ছিল কৃতজ্ঞতা আর প্রশংসা। এক বৃদ্ধ বলেন, এমন দিনে সেনাবাহিনীই আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। টাকা ছাড়া এত ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাবে এটা ভাবতেই পারিনি। এক নারী বলেন, ঔষধ কিনে খাওয়ার সামর্থ্য ছিল না। আজ বিনা খরচে সব পেয়েছি। চিকিৎসকের ব্যবহারও খুব ভালো ছিল।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের জনকল্যাণমুখী চিকিৎসা সেবা আগামীতেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত থাকবে।