খাগড়াছড়িতে সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসা’র ঘুষিতে প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রী মৌসুমী ত্রিপুরা গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরা মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। অভিযুক্ত সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকতা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে কর্মরত। আহত প্রধান শিক্ষিকা জানান,‘ সকালে বিদ্যালয়ের নড়বড়ে গেইট সংস্কার করার আবেদন নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে গেলে সুভায়ন খীসা প্রথমে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পরে আমাকে পিটিয়ে আহত করে। সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিথিলা বড়ুয়া জানান, আহত মৌসুমী ত্রিপুরা মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তার চোখের নীচেও সেলাই করতে হয়েছে। যেহেতু উনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন তাই সিটি স্ক্যান করানোর জন্য বলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের সাজার্রি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন ,‘আমি অফিসে দাপ্তরিক কাজ করছিলাম। এসময় প্রধান শিক্ষিকা আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার কারণে তার সাথে আমার ধস্তাধস্তি হয় ।

এক পর্যায়ে দরজায় ধাক্কা খেয়ে তিনি আহত হন। সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত প্রধান শিক্ষিকাকে হাসপাতালে দেখতে যান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন । তিনি সাংবাদিকদের জানান,‘ কীভাবে এমনটি ঘটেছে আমি এখনো জানতে পারিনি। হামলার শিকার শিক্ষিকা এঘটনায় লিখিত অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।