পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাফি প্রতিদিনের মতো স্কুল থেকে ছুটির পর বাসায় ফেরার জন্য চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় অটোরিকশায় উঠলে একদল অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে। পরিবার জানায়, কিছুক্ষণ পর অপহরণকারীরা ফোন দিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তবে পরিবার বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাদের বিকাশ নম্বর চাইলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পানছড়ি আর্মি ক্যাম্প ও খাগড়াছড়ি জোনকে জানায়।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরই সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। পানছড়ি আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাহফুজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি সি-টাইপ টহল দল সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটে পানছড়ি মোল্লাপাড়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় বাদশা মিয়া নামে এক অপহরণকারীকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে অপহৃত রাফিকে উদ্ধার করা হয়।
পরে বাদশা মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পানছড়ি বাজার থেকে আরও একজন অপহরণকারী কামরুল ইসলামকে আটক করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুইজনকে খাগড়াছড়ি সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধান অপহরণকারী আব্দুল মালেক মিয়াকে (মালু) ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপহৃত আল রাফি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের হাচিনসনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আটককৃত অপহরণকারীরা:
১. বাদশা মিয়া (২৮), পিতা: আব্দুল রহিম, মাতা: রাবেয়া খাতুন, গ্রাম: মোহাম্মদপুর, সদর, খাগড়াছড়ি।
২. কামরুল হাসান (২৩), পিতা: হানিফ হোসেন, মাতা: মনোয়ারা বেগম, গ্রাম: ইটাখোলা, থানাঃ পানছড়ি, খাগড়াছড়ি।
প্রধান অপহরণকারী: আব্দুল মালেক মিয়া (মালু), পিতা: আব্দুল মান্নান, মাতা: কহিনুর বেগম, গ্রাম: মোহাম্মদপুর, সদর, খাগড়াছড়ি (পলাতক)।