খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়রা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) কায়সার রেজার বিরুদ্ধে গ্রাহকের নিকট থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
গত ০৬/০১/২৫ সোমবার ভুক্তভোগী বিশ্বনাথ বাইন বাদী হয়ে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের নিকট লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন। তিনি হাতিয়ারডাঙ্গা গ্রামের পুলিন চন্দ্র বাইনের পুত্র । অভিযোগ পত্রে ভুক্তভোগী ঐ গ্রাহক উল্লেখ করেন যে, তিনি অটো রাইস মিলের তিন ফেজ সংযোগ পাইবার জন্য গত ১৫/০৭/২০২৪ ইং তারিখে আবেদন করেন।আবেদন মঞ্জুর হওয়া ও স্মারক নং২৭.১২.৪৭৫৩.৫৩৩.০৮,০৪,০১.২৪,৪৪ ডিমান্ড নোট প্রাপ্তির পর ৪০ কিঃ ওয়াট 'জামানতের টাকা ২৪৩৬৪১ নং রশিদের মাধ্যমে ১২/০৮/২০২৪ ইং তারিখে ৩৮,৪০০/ (আটত্রিশ হাজার চারশত) টাকা জমা প্রদান করেন এবং ওয়্যারিং আংশিক সম্পন্ন করেন। পূর্ন ওয়‍্যারিং করার জন্য তিন ফেজ ছকেট প্রয়োজন হলে অফিস নিয়ম অনুযায়ী স্ব-শরীরে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়রা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের নিকট সাদা কাগজে আবেদন করেন। কিন্তু ডিজিএম সরাসরি তাকে সংযোগ পাবে না বলে দেন।কারণ, জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন- আপনার কাগজ পত্রে ত্রুটি আছে, আর আপনি কাকে কাকে কত টাকা দিয়েছেন? আপনার যোগাযোগের মাধ্যম কি? কোন যোগাযোগ ছাড়া এত বড় শিল্প সংযোগ এর কার্যক্রম এতদুর কিভাবে হয়? আপনি আজকে চলে যান আবার তদন্ত হবে তার পর আসেন। এভাবে গ্রাহক কে ২ মাস দেরী করায়। এরমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ এর ৪/৫ বার তদন্ত হয় ভিন্ন ভিন্ন কর্মকর্তা দিয়ে যাহা অপ্রয়োজনীয়। তাদের কাছে অহেতুক তদন্তের কারণ জিজ্ঞাসা করলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা সরাসরি ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে বলেন। পরে নিরিবিলি ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের (ডিজিএম) সাথে দেখা করলে ইনিয়ে বিনিয়ে আকার ইঙ্গিতে ২০,০০০/ (বিশ হাজার) টাকা দেয়ার জন্য বলেন।গ্রাহক ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা দিতে রাজি হলে ওনি বাড়ি যেতে বলেন। একপর্যায়ে ০৮/১০/২০২৪ ইং তারিখে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে ১০,০০০/ (দশ হাজার) টাকা ওনার হাতে জমা দেন। এবং টাকা পেয়ে ভুক্তভোগী ঐ গ্রাহকে ছকেটের জন্য আবেদন করা কাগজে স্বাক্ষর দেয় । এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বনাথ বাইন আরও বলেন, আমি কয়রা জোনাল অফিসের ডিজিএম কায়সার রেজার বিরুদ্ধে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের নিকট জোরপূর্বক অর্থ আদায়ের লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তারা আমার কাছে তথ্য নিতে এসেছিলেন।কিন্তু তদন্তকারী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান আমাকে লাইন কেটে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সাদা কাগজে মিথ্যা লিখতে বলেছিলেন।আমি জেনারেল ম্যানেজারকে জানালে তিনি পুনরায় তদন্তে পাঠিয়েছেন। এবার আমি সত্যি লিখেছি।তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কয়েকজন কর্মকর্তা এসে মাঝেমধ্যে আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কয়রা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কায়সার রেজা মিটিং এ আছেন বলে জানান।তবে পরে আর ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান বলেন,আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এখন এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।