নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে গতকাল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউল সারোয়ার বিপিএম বলেন,গত ০৯ ডিসেম্বর রাত্রি ১১টায় মহাদেবপুর থানাধীন খাজুর গ্রামে ডাকাতের উদ্দেশ্যে এক বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। তারা বাড়ির লোকজনদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি স্বর্ণের চেইন, নগদ টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন ডাকাতি করে। ডাকাতির একপর্যায়ের ডাকাত দলটি গৃহবধুকে জোরপূর্বক অপহরণ করে বাড়ী থেকে দূরে ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষণ করে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে গ্রাম বাসির সহায়তায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মহাদেবপুর সার্কেল জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তার টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি ভোর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত শরিফুল ইসলাম পচা (২৯), পিতা-মৃত আজির মন্ডল, সাং-চকজামদই মুচিপাড়া, থানা-মান্দা, তারেক হোসেন (২৬), পিতা- মোঃ লুৎফর রহমান, সাং-চকজামদই, থানা-মান্দা, মোঃ সোলাইমান আলী (৩৮), পিতা-মোঃ মনির উদ্দিন শেখ, সাং- বনসেতর, থানা-মান্দা, মোঃ রিপন আলী (৩০), পিতা-মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাং-জিনারপুর (সাবিলপুর), থানা-নিয়ামতপুর, মোঃ ফারুক হোসেন ও রকেট সর্দার (৩২), পিতা-মোঃ মাসুদ রানা সর্দার, সাং-গৌড়রা বৌদ্দপুর, থানা-মান্দা, মোঃ সাগর হেসেন (১৯), পিতা-মোঃ জিল্লুর রহমান, সাং-চককন্দর্পপুর, থানা- মহাদেবপুর, মোঃ রুবেল সরদার (২৮), পিতা-মোঃ মাসিদুল মাসুদ রানা, সাং-বন্দীপুর, থানা-মান্দা, সর্বজেলা-নওগাঁকে গ্রেফতার এবং লুষ্ঠণকৃত মালামাল উদ্ধার করে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীগণের মধ্যে ০৩ জন বিজ্ঞ আদালতে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে