সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান উক্ত দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করেন।

  উপকুলীয় উপজেলা ফেনীর  সোনাগাজীতে ২৩ বছর পর গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মতিগন্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের বাদশা ফকির বাড়ীর জয়নাল আবেদীন পুএ  আজিজুর রহমান প্রকাশ আনিছুল হক আনিছ (৪৫) কে গত সোমবার ভোররাতে তার  ভাদাদিয়া গ্রামের বাদশা ফকির বাড়ী  হইতে  গ্রেফতারে  সক্ষম হয়েছে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ। সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ সুএেজানা যায়, ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে অভিযুক্ত  আনিছুল হক আনিছ সহ আরও ছয়জন মিলে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারী বাদী হয়ে তৎকালীণ সময়ে অভিযুক্ত আনিস সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন সেই মামলার  নং -১১তাং-২৭-০২-২০০০ ইং। 
 
মামলার তদন্ত শেষে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ কতৃক তিন আসামীকে গ্রেফতার পুর্বক বাকী চারজন পলাতক হিসেবে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান পূর্বক ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ফেনী-২ এর তৎকালীণ বিচারক ২০০২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি উক্ত অভিযুক সাতজন আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতার কৃত তিন আসামীকে কারাগারে প্রেরনের পর এই  তিনজন আসামি দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মহামান্য  হাইকোট থেকে জামিন নিয়ে ছাড়া পায়।  পলাতক চার আসামির মধ্যে সদ্য গ্রেফতার কৃত আনিছুল হক আনিছও একজন।
 
মামলার পর থেকেই গ্রেফতার এড়াতে এই আসামী আনিছুল হক আনিছ পলাতক ছিলেন। ইতোমধ্যে সে পলাতক অবস্থায়  সৌদি আরব সহ কয়েকটি দেশে আত্মগোপনে ছিলেন। উক্ত মামলায় দন্ডিত আরো তিন আসামি আজও পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর প্রাপ্ত হয়ে  সোনাগাজী মডেল থানার  এসআই সায়েদুর রহমান বিপিএম'র নেতৃত্বে পুলিশদল তাকে গ্রেফতারে সক্ষম হন । সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান উক্ত দন্ডপ্রাপ্ত  পলাতক  আসামী গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করেন।