উর্ধতন কতৃপক্ষকে বারবার অভিযোগ দিয়েও কাজ হচ্ছে না,অবশেষে নিজের চেষ্টায় পলিথিন টাঙ্গিয়ে থাকছেন গেটকিপাররা গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ

উর্ধতন কতৃপক্ষকে বারবার অভিযোগ দিয়েও কাজ হচ্ছে না,অবশেষে নিজের চেষ্টায় পলিথিন টাঙ্গিয়ে থাকছেন গেটকিপাররা গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১নং বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত ১০২ নং রেলগেটের গেটকিপারদের থাকার জন্য বৃটিশ আমলের তৈরি করা ঘরটি বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পরেছে।এমন বেহাল দশা যে দিন রাত ২৪ ঘন্টায় ঘরের ছাদের পলেস্তার খসে ঝুরঝুর করে বালি সিমেন্ট নিচে পরে বিছানায় ময়লা জমে থাকায় এবং শোয়ার পর চোখে,মুখে,কানে বালি,সিমেন্ট পড়ার ফলে কখনো দাড়িয়ে,কখন চেয়ারে বসেই ঘুমাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গেটকিপার আব্দুল আজিজ ও মোঃ আব্দুস সালাম।ঢাকা-লালমনিরহাট এ রুটে মেইল ট্রেন ৬টি এবং আন্তঃনগর ৮ টি(আপ-ডাউন) ট্রেন নিয়মিত চলাচল করে আসছে ফলে ২ শিফটে দু'জন গেটকিপার দ্বায়িত্ব পালন করতে হয়।কখনো বিশ্রামের প্রয়োজন হলে ভঙ্গুর দশা ঘরটিতে ঢুকতে তারা ভয় পান।ঘরের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে কোথাও কোথাও ছাদের রড পর্যন্ত দেখা যায়। দেয়ালে ফাটল ধরায় ছাদটি যে কোন মুহুর্তে দুমড়ে-মুষড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন ডিউটি করলেও যেন দেখার কেউ নেই। অবশেষে নিজেদের উদ্যোগে বৃষ্টির পানি আর বালি সিমেন্টের হাত থেকে রক্ষা পেতে ছাদে পলিথিন টাঙ্গিয়ে দিনাতিপাত করছেন গিটকিপারদ্বয় এযাবৎ অনেকবার পশ্চিম যোন রেলওয়ের পিডব্লউ/আইডব্লউ, ইএন, ডিন ও ডিআরএম বরাবর লিখিত অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের কোন ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় অবর্ণনীয় কষ্টে ২৪ ঘন্টা দ্বায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।