বরগুনার তালতলীতে রাতের আঁধারে এক কৃষক দাইয়ান নাজির এর জমির পাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ আলতাফ মোল্লা গং এর বিরুদ্ধে।শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের আমখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী কৃষক দাইয়ান নাজির সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আনুমানিক ৬৫ বছর পূর্বে আমার পিতা সামসুল হক নাজির, রাখাইন চক্রাফু'এর কাছ থেকে জমি ক্রয় করে। তখন থেকে ভোগদখল করে আসছি। তবে কয়েক বছর পূর্বে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী নেতাদের পাওয়ার প্রভাব খাটিয়ে আলতাফ মোল্লা গং ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এতে টাকা দিতে অস্বীকৃতি করায় তারা জমি জবরদখল করার চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় তারা আমাকেও আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। এই বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান এবং কয়েকটি মামলার রায় আমরা পেয়েছি। গত ৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর ওই সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ আবার নতুন করে এসে রাতের আঁধারে বাচ্চু মোল্লা, আলতাফ মোল্লা, মালেক মোল্লা, শাহজাহান মুন্সি, জামাল মুন্সি, জসিম মোল্লা। গং আমার জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে। রাতে পুলিশের সহয়তা চাওয়া হলে তারা রাতে আসিনি। পরে সকাল ১০ ঘটিকার সময় তালতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ধান কাটার সত্যতা পায়। এবং আসামিদের বাড়ি গিয়ে ধান দেখতে পায়।স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা জানান, আলতাফ মোল্লাদের কাজই হল এরকম তারা বিভিন্ন মানুষের জমি দখল দেওয়ার চেষ্টা করেন টাকা দাবি করেন। গতকাল রাতের আঁধারে মোল্লারা সাথে লোক নিয়ে দাইয়ান নাজিরের ধান কেটে নিয়ে গেছে। । আমরা এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে আমাদের উপর পরে হামলা হবে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলতাফ মোল্লার বাড়িতে গিয়ে কাটা দান দেখতে পাওয়া গেছে। তবে তাদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে জানিয়েছেন আমাদের এক রাখাইন ধান কাটতে বলেছে আমরা ধান কেটেছি।তালতলী থানা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর সুশান্ত জানান, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনা স্থানে গিয়ে ধান কাটা দেখেতে পাই এরপর আলতাফ মোল্লার বাড়িতে গিয়ে ধান দেখেতে পেয়েছি আমার আসার সংবাদ পেয়ে তারা পালিয়েছে। বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি।তবে এ বিষয়ে, তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত ) আল ইমরান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।