গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের এসব হামলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও ন্যায়বিচারের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত মাসে একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল ব্যাপক সামরিক হামলা শুরু করে, যার ফলে বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এসব হামলার ফলে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো বন্ধ হয়ে গেছে এবং একটি চরম মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় নির্বিচার বিমান হামলা চালানোর মাধ্যমে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর জাতিগত নির্মূল অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের আওতায় দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ করছে— তারা যেন অবিলম্বে একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করে, বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং গাজায় অবরুদ্ধ জনগণের কাছে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকার আবারও ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংলাপ ও আলোচনার পথে ফিরে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। একইসঙ্গে সহিংসতা বন্ধে কূটনৈতিক উদ্যোগকে আরও জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে, শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে অগ্রসর হতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবিলম্বে এবং কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।