কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন দেশত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দাবি করেছেন গুলি নয়, ইটের আঘাতে প্রাণ যায় আবু সাঈদের।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে ৮ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এ দাবি করেন। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকাও তাদের অনলাইন ভার্সনে এই সংবাদ প্রচার করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেদিন পুলিশ শুধুমাত্র রাবার বুলেট ছুড়েছিল, কোনো মেটাল বুলেট ছোড়া হয়নি। আবু সাঈদের মাথায় আঘাত (ঢিল) লেগে মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, পুলিশ তাকে গুলি করেনি, বরং পুলিশের দিকে ছোড়া আন্দোলনকারীদের ঢিলের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশেরও আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কবর থেকে সবার (সাঈদ, মুগ্ধ) লাশ তুলে ফরেনসিক করলেই স্পষ্ট হবে, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই ছিল পরিকল্পিত।
তিনি বলেন, ‘৭.৬২ এমএম বুলেট কী ভাবে এল? কে মিছিলে বন্দুক নিয়ে এসেছিলেন? নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, ‘খুনগুলো ছিল ষড়যন্ত্রের অংশ। আমি খুন করিনি, পুলিশ বা আওয়ামী লীগের কর্মীরাও করেননি। পুলিশ নিজেই নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিল। সব ছিল নির্ভুল পরিকল্পনা।’
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস এর সাথে জড়িত ছিল। ইউনূস বিদেশি অর্থ এনে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। শেখ হাসিনা বলেন, এই হত্যার সত্য উদঘাটনে দায়িত্ব প্রাপ্ত এক কর্মকর্তাকে ইউনূস সরকার সরিয়ে দিয়েছে।
স্বাধীনতা আন্দোলনের চিহ্ন মুছে ফেলা হচ্ছে বলেও তিনি ওই ভিডিও বার্তায় মন্তব্য করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের চিহ্ন মুছে ফেলা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মানুষ যাতে না ভোলে, সে জন্য সব জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করেছিলাম। সেগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর জবাব কি দিতে পারবেন ইউনূস? ‘ পরে তিনি ইউনূস সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন ,’আগুন নিয়ে খেললে আপনিও পুড়ে মরবেন।’