র্যাব-১৩ কর্তৃক তাজহাট থানাধীন লালবাগ এলাকা হতে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধুকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে মামলা রুজুর ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে। র্যাব-১৩’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)ফ্লাইট লেঃ মোঃ সাইফুল্লাহ নাঈম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,র্যাব-১৩ এর সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আরপিএমপি রংপুরের তাজহাট থানাধীন খামার মোড়স্থ’নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী(নেসকো) পিএলসি,বিতরণ অঞ্চল রংপুর এর সামনে অভিযান পরিচালনা করে (রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী রংপুর জেলা গঙ্গাচড়া থানাধীন দক্ষিণ চেংমারী নাককাটির চওড়া এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া(৩৪)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।মামলা ও র্যাবের তথ্য অনুযায়ী রুবেল মিয়া (৩৪) ও তার পরিবারের লোকজন মিলে তার স্ত্রী মোছাঃ মারুফা আক্তার নিশি(২৮)কে যৌতুক ও বাবার থেকে বিভিন্ন ধরনের সম্পদ আদায়ের উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ ডিসেম্বর/২৪ তারিখের রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে নিশিকে ঘুমান্ত অবস্থায় ধৃত আসামীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল থেকে পেট্রোল বাহির করে ভিকটিমের শরীরে ঢেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আসলে প্রধান আসামীসহ অন্য আসামীরা লোকজনকে দেখানোর জন্য ভিকটিমের শরীরে জ্বলতে থাকা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরদিন(২৬ ডিসেম্বর/২৪)ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে ৩দিন অতিবাহিত হবার পর ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে,গত ২৯ডিসেম্বর/২৪ তারিখে স্বজনেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।সেখানে ৪-৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়,গত ৩জানুয়ারি/২৫ তারিখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ভিকটিমকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন।পরবর্তীতে ০৬ জানুয়ারি/২৫ইং তারিখে রুবেলের বাড়িতে মারুফা আক্তার নিশি মৃত্যুবরণ করেন।পরে ০৮ জানুয়ারি রাতে মারুফার মা বাদী হয়ে নিশির স্বামী ও তার পরিবারের সবাইকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।বিষয়টি বিভিন্ন ধরনের মিডিয়ায় আসলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।