এমনটি অভিযোগ করেন এমান শেখের স্ত্রী নাসিমা বেগম।সরেজমিনে গেলে জানা যায়, মেহেদি শেখ বহুবছর যাবৎ মাদকের ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে তার নামে টুঙ্গিপাড়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার সুবাদে সমাজের সকল শ্রেণির লোকজনদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠায় সে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়ায়।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গহরডাঙ্গা গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী মেহেদি শেখ হত্যার হুমকি দেন একই গ্রামের এমান শেখ ও তার পরিবারের সদস্যদের।

এমনটি অভিযোগ করেন এমান শেখের স্ত্রী নাসিমা বেগম।সরেজমিনে গেলে জানা যায়,  মেহেদি শেখ বহুবছর যাবৎ মাদকের ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে তার নামে টুঙ্গিপাড়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার সুবাদে সমাজের সকল শ্রেণির লোকজনদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠায় সে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়ায়।

এ ব্যপারে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, আমার মেয়ে সাবিনার সাথে ওর কয়েক বছর পূর্বে বিবাহ সংঘটিত হয়। বিবাহের পর থেকে ও আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়, আমার মেয়ে রাজি না থাকায় প্রিয় প্রতিদিনই ও আমার মেয়েকে মারধর করতো। ও আমার মেয়েকে মেরে চোখ কান নাখ বিকলাঙ্গ করে ফেলে এ বিষয়ে আমাদের এলাকার মাতবর ও গুনিজনেরা বহুবার সালিশ মীমাংসা করেও ব্যর্থ হন।

পরবর্তীতে এ ব্যপারে টুঙ্গিপাড়া থানায় অভিযোগ করেও ব্যর্থ হই আমরা। অবশেষে আমার মেয়ে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মেহেদীকে ডিভোর্স দেয় গত ৪/৮/২০২৪ইং তারিখে। ডিভোর্স দেওয়ার পর ও আরো বেপরোয়া হয়ে যায়। ও আমাদেরকে প্রতিদিন রামদা নিয়ে আমাদের খুন করতে আসে ওর সাথে মিলিত হয়েছে ঠান্ডা শেখ ও ওর মামা হাসিব। ওর ভয়ে আমরা গ্রাম ছাড়া। মেহেদি ও তার মামা হাসিব  আমাদেরকে মুঠোফোনে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমরা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমরা টুঙ্গিপাড়া থানা সহ কোথাও কোন সু-বিচার পাচ্ছিনা। 

এ ব্যপারে টুঙ্গিপাড়া থানায় ঠান্ডা শেখের স্ত্রী নাসিমা বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। থানায় ডায়েরি করার পরে, সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী মেহেদি ও তার লোকজন আরো বেপরোয়া হয়ে নাসিমা বেগম ও তার পরিবারের লোকজনদের জানে মেরে ফেলার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে নাসিমা ও তার পরিবার নিজের বাড়ি ছেলে বাপের বাড়িতে অবস্থান করছে।নাসিমা বেগম ও তার পরিবারের লোকজন গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর গোপালগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার সাহায্যে প্রার্থনা করেন।