ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু জানান, আমি বেশ কিছুদিন ধরে ওই পকল্পের শ্রমিকদের জন্য রান্নার কাজ করে আসছি। নৈশ প্রহরী মন্টু শেখ বিভিন্ন সময় আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।ওই দিন বিকালে রান্নার কাজ করে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় মন্টু শেখ তার রুমে আমাকে ডাকেন। আমি তার রুমে গেলে আজিজ ওই রুম প্রবেশ করন।এরপর মন্টু বাহিরে গিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। ম্যানেজার আজিজ মোল্লা আমাকে ঝাপটে ধরে। আমি চিৎকার দিতে গেলে আমাকে ছুরি দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন প্রভাবশালী ধর্ষকদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।চলছে তাদের উপর প্রতিনিয়ত হামলা ও হুমকী।গোপালগঞ্জে কারফু চলাকালিন সময়ে (২৭) এক গৃহবধু(কাজের মেয়ে)দুই সন্তানের জননী দলবদ্ধ ধর্ষনের শিকার হয়েছেন।রোববার বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে শহরের চরসোনাকুড়  এলকায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য নিমাণধীন  জলবায়ু সহিষ্ণু আবাসন প্রকল্পে এক ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু জানান, আমি বেশ কিছুদিন ধরে ওই পকল্পের শ্রমিকদের জন্য রান্নার কাজ করে আসছি। নৈশ প্রহরী মন্টু শেখ বিভিন্ন সময় আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।ওই দিন বিকালে রান্নার কাজ করে বাড়ি ফিরছিলাম। এসময় মন্টু শেখ তার রুমে আমাকে ডাকেন। আমি তার রুমে  গেলে আজিজ ওই রুম প্রবেশ করন।এরপর মন্টু বাহিরে গিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। ম্যানেজার আজিজ মোল্লা আমাকে ঝাপটে ধরে। আমি চিৎকার দিতে গেলে  আমাকে ছুরি দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

আমি অনেক অনুরোধ করে তার কাছে ইজ্জত ভিক্ষা চাই। কিন্তু এরপরও সে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে সে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর নৈশ প্রহরী মন্টু রুমে প্রবেশ করে আমাকে ধর্ষণ করে। আমি বাড়িতে ফিরে এঘটনা আমার স্বামীকে জানাই।সোমবার নিজে বাদি হয়ে ওই দুই  ধর্ষকের নামে থানায় মামলা করি। তিনি আরো বলেন, ওরা এলাকার প্রভাবশালী আমি মামলা করেছি বলে ওরা বারবার আমাদের উপর হামলা করছে। ওরা আমার দেবরকে মেরে পায়ের রগ কেটে দিয়েছে।

আমরা উলটো ওদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।গত সোমবার (২২জুলাই)  ওই প্রকল্পের নৈশ প্রহরি ও চর সোনাকুর গ্রামের মোশাক শেখের ছেলে মন্টু শেখ  (৩০) ও ম্যানেজার সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের  মধূপুর গ্রামের মাজেদ চৌকিদারের ছেলে আজিজ মোল্লা (৩৫) কে আসামী করে গোপালগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষেনের মামলা হলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয় নাই।

 গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: জিবিতেষ বিশ্বাস বলেন, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।রিপোর্ট পেলে ধর্ষণের বিয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।গত সোমবার গোপালগঞ্জে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ওই গৃহবধুর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ও,সি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান এ বিষয় নিশ্চিত করেন।