জুলাই মাসের শুরু থেকেই জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় জুলাই পদযাত্রা শুরু করেন, এরই ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি আয়োজিত জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রওয়ানা হন কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় গোপালগঞ্জে ঢুকতেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে মরণমুখী হামলার স্বীকার হন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির সভাপতি নাহিদ ইসলাম, শীর্ষ নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, হাসানাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম সহ আগত নেতৃবৃন্দ এবং সমাবেশ আয়োজনকারী স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এদিকে এই নৃশংস হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি, এরই অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া জেলায় বিক্ষোভ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মজমপুর গেটে মিছিল সহকারে এসে বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। তারা বলেন গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা কর্মসূচীতে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর হামলা করেছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
পুলিশের ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিলনা দাবী করে বক্তারা বলেন, দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে সারাদেশে ব্লকেট কর্মসূচী দেওয়া হবে। এ সময় তারা হামলায় জড়িতদের বিচার, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার, দেশের সকল ক্যাম্পাসে মুজিবের সব স্মৃতিচিহ্ন নিশ্চিহ্ন করা ও জুলাই গণঅভ্যূত্থানের বিরোধীতাকারী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে আগত শিক্ষার্থীরা বলেন, ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালালেও তার প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। আমরা যদি একতাবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবিলা করতে না পারি, তাহলে সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তেই গোপালগঞ্জের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ থেকে আওয়ামীলীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।