ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৭নং রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি’র অপসারণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি আবেদন প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২ডিসেম্বর) আবেদনটি গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ। তিনি বলেন, আবেদন পেয়েছি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।স্মারকলিপি প্রদান শেষে চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সদস্য জালাল আহমেদ, উত্তর জেলা যুবদলের সদস্য এমদাদুল হক মিলন, শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত মো. মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, খায়রুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মো. জাইদুল ইসলাম, এরশাদ আহমেদ, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ। বক্তরা বলেন, ২০জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার যে লড়াইয়ে ৩জন শহিদ হয়েছেন, সেখানে জনিও ছিলো। সে হত্যা মামলারও আসামী।স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনির নেতৃত্বে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। বিগত ৩টি অর্থবৎসরে নামে-বেনামে প্রকল্প দিয়ে অর্ধকোটি টাকা লুট করেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে আব্দুল্লাহ আল আমিন জনিকে কল করলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে তার পরিবারের একাধিক সদস্য জানান, জনি চেয়ারম্যান-জনবান্ধব হওয়ার কারণেই দ্বিতীয়বারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক কারণেই তাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।