শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সৃজনশীল মাধ্যমে জটিল বিষয়গুলোকেও আরও সহজ করার লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে আইডিয়া ফেয়ার” অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ হল রুমে “গুড নেইবারস বাংলাদেশ-ঘাটাইল সিডিপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ইউনেস্কো হামদান প্রাইজ প্রজেক্টের অধীনে একটি অনুপ্রেরণামূলক ও সৃজনশীল “আইডিয়া ফেয়ার ২০২৫”, যেখানে বিজ্ঞান, গণিত এবং ইংরেজি বিষয়ের উপর শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী ধারণা তুলে ধরেন স্টল ও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু সাইদ। গুডনেইবারস বাংলাদেশ ঘাটাইল সিডিপির ম্যানেজার শারমিন নাসরিনের সভাপতিত্বে এসময়
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম,গুডনেইবারস বাংলাদেশ ঘাটাইল সিডিসির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম খান,উইজডম ভ্যালীর প্রধান শিক্ষক
মোঃ কামাল হোসেন,
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান তালুকদার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গুড নেইবারস বাংলাদেশের এডুকেশন প্রটেকশন অ্যান্ড হেলথ ইউনিট ম্যানেজার কর্নেল কস্টা, মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন টিম ম্যানেজার প্রসেনজিৎ মোল্লা প্রমুখ।
মোট ১০টি গ্রুপ বিভিন্ন উদ্ভাবনী আইডিয়া উপস্থাপন করে, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ স্টলের মাধ্যমে মডেল, চিত্র, এবং পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের সাহায্যে তাদের চিন্তাভাবনা ও সৃজনশীলতা তুলে ধরে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল, প্রতিটি দল তাদের আইডিয়া এমনভাবে উপস্থাপন করে যা স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ “আইডিয়া এক্সপ্রেশন স্টল” রাখা হয়, যেখানে তারা নিজেরা দর্শনার্থীদের সামনে সরাসরি তাদের চিন্তা উপস্থাপন করে।
গুড নেইবারস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে ভাবনার সুযোগ তৈরি করা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থার পথ সুগম করা।
উক্ত আয়োজনে স্থানীয় শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে দেয় যে, সঠিক দিকনির্দেশনা ও সুযোগ পেলে শিক্ষার্থীরাই হতে পারে আগামীর নির্মাতা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গুডনেইবারস উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ মোশারফ হোসেন।