ঘুড়ির ডানায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি,চট্টগ্রামের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
বিশ্ব ঘুড়ি দিবস উপলক্ষে ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতে ব্যতিক্রমধর্মী এক ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ‘Kite4Palestine’ নামের এ ক্যাম্পেইনটি অনুষ্ঠিত হয় রোববার (২৫ মে) নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মাঠে।
এই আয়োজনটি ছিল শান্তিপূর্ণ ও সৃজনশীল এক প্রতিবাদের রূপ, যেখানে শতাধিক ঘুড়ি উড়ানো হয় ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকার চারটি রঙ—কালো, সাদা, লাল ও সবুজে রাঙিয়ে। প্রতিটি ঘুড়ি যেন হয়ে ওঠে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের মৌন আর্তনাদ, নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। ঘুড়ি উড়াতে না পারা অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল রঙিন বেলুন, যেগুলোর গায়ে লেখা ছিল সংহতিমূলক ও প্রতিবাদী নানা স্লোগান ও বার্তা।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আয়োজক শিক্ষার্থীরা জানান, “আমরা চাই ঘুড়ি শুধু আনন্দের প্রতীক না থেকে হোক বিশ্বমানবতার ভাষ্যবাহক। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা ঘুড়িকে পরিণত করেছি ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির প্রতীকে। প্রতিটি উড়ন্ত ঘুড়ি যেন বহন করুক যুদ্ধবিরোধী, মানবিক এবং শান্তির বার্তা।”
তারা আরও বলেন, “শিশুদের খেলনা হিসেবে পরিচিত এই ঘুড়িই আমাদের চোখে হয়ে উঠুক যুদ্ধের বিপরীতে শান্তির প্রতীক—এক স্বাধীন আকাশে মুক্তভাবে উড়বার প্রতীকী আকাঙ্ক্ষা।”
এই আয়োজন প্রমাণ করেছে, প্রতিবাদের ভাষা শুধু মিছিল, শ্লোগান বা লেখা নয়—সেটি হতে পারে সৃজনশীলতাও। রঙ, প্রতীক ও নীরব বার্তার মধ্য দিয়েও একজন সচেতন নাগরিক তার অবস্থান তুলে ধরতে পারেন। ‘Kite4Palestine’ সেই নিরব কিন্তু দৃঢ় প্রতিবাদের একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।