চর রাজিবপুর আলিম মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাখোয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে টাকা লেনদেনের মাধ্যমে স্বপদে বহালের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয়টা নিয়ে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার চর রাজিবপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাখোয়াত হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেছে। আজ ৫ জানুয়ারি রবিবার বেলা ২ টা মাদ্রাসার সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সুপার সাখোয়াত হোসেন বলেন রাজিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মোখলেছুর রহমানকে জড়িয়ে আমার সাথে টাকা লেনদেনের যে খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোন দুষ্কৃতি মহল এ ধরনের সংবাদ করিয়ে থাকতে পারে। আমি এই মিথ্যা কাল্পনিক সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরো বলেন চর রাজিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোখলেছুর রহমান সৎব্যক্তি ও নীতিবান মানুষ। তিনি মানুষের বিপদ আপদে সহযোগিতা করে থাকেন। যেহেতু তিনি আমাদের মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্য বা পদে নেই তাই তার সাথে মাদ্রাসার আর্থিক বিষয় নিয়েও কোন প্রকার লেনদেন করা প্রশ্নই ওঠে না। অত্র মাদ্রাসার সভাপতি ছিলেন রাজিবপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাদ্রাসার আলিম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বাধ্য করেন । আমি অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। বই উৎসবের অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো ও অতিথি করায় স্থানীয় অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হন। পরে আমি এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় বিধি মোতাবেক ছুটি নিয়ে আমি চিকিৎসা নিতে থাকি। চিকিৎসা শেষে আল্লাহর রহমতে আবারও সুস্থ হয়ে ভবিষ্যতে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পরামর্শ না নেওয়া ও সম্পর্ক না রাখা শর্তে আমি আমার নিয়মিত কাজে মাদ্রাসায় যোগদান করি।ভবিষ্যতে আওয়ামী সরকার বা স্বৈরাচারের কোন ব্যক্তি বা দালালদের সাথে আমার কোন প্রকার সম্পৃক্ততা থাকবো না মর্মে অঙ্গীকার করে আমি আমার মাদ্রাসার সকল কাজে আপনাদের সবারই সহযোগিতা কামনা করছি।