ড্রেন থেকে লিকেজ হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে গড়াচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মশা মাছির উপদ্রব। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, ছড়াচ্ছে রোগবালাই এইসব কিছু সহ্য করে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি পেরিয়ে প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে সরকারি চাকুরিজীবিরা ও স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। পাশেই জমে আছে ময়লা আবর্জনা। শিক্ষার্থীরা সেই পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে। স্কুল লাগোয়া সড়কের ময়লা পানির দুর্গন্ধ স্কুলের শ্রেণিকক্ষের ভেতর থেকেও পাওয়া যাচ্ছে।
উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে আগত বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণসহ আশেপাশের মানুষের রোগবালাই দেখা দিয়েছে। এই সড়কটির বিষয়ে আমরা একাধিকবার পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। কিন্তু কার্যকর কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আমরা আশাহত হচ্ছি।
ফরিদগঞ্জ বালিকা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, এই বিদ্যালয়টি ১৯৬৯ সালে স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি ও সড়কের পথে ময়লার ভাগাড়ের জন্য শিক্ষার্থীদের নানান রোগবালাই দেখা দিয়েছে। আমরা পৌরসভা ও উপজেলার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবর লিখিত ও মৌখিকভাবে একাধিকবার জানালেও কোন ফলাফল আসেনি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, বিদ্যালয়টির সড়কে ময়লা পানির বিষয়টি জেনেছি, বিষয়টি দুঃখজনক। এ সমস্যা নিরসনের জন্য দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।