সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজটি দিয়ে যান চলাচল পুরোটাই বন্ধ রয়েছে, র্দীঘদিন ধরে এটি সংস্কারের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের রেজ্জাকপুর-বদলকোট সড়কে অবস্থিত ব্রীজটি সংস্কারের অভাবে এখন আর ব্রীজ নয় যেন মরণ ফাঁদ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজটি দিয়ে যান চলাচল পুরোটাই বন্ধ রয়েছে, র্দীঘদিন ধরে এটি সংস্কারের কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এটি রেজ্জাকপুর গ্রাম থেকে স্থানীয় বদলকোট বাজার কিংবা উপজেলা সদরে আসা-যাওয়া করা হাজার হাজার মানুষের একমাত্র পথ। এটি যেমনি হেঁটে চলার তেমনি পিকাপ, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি চলার ব্যস্ত তম রাস্তাও। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওমর ফারুক জানান,' দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এই ব্রীজটি অর্ধেক ভেঙ্গে পড়ে আছে।

ব্রীজটি রেজ্জাকপুর হতে বদলকোট যাওয়ার প্রধান সড়কে। প্রতিদিন শতশত সাধারণ মানুষ, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকিনিয়ে ভাঙ্গা ব্রীজটির একপাশ( কাঠ দিয়ে আটকে দেয়া) দিয়ে যাতায়াত করছে। বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনায়ও পড়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এখন আর কোন পরিবহন এ সড়ক দিয়ে চলছে না। গ্রাম থেকে বের হয়ে বেশকিছু পথ হেটে গিয়ে সাধারণ মানুষকে তাদের গন্তব্যে যেতে পরিবহনে উঠতে হয়। তারা সময়, কষ্ট, অর্থ তিন দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী রাসেল জানান, 'ব্রীজটি পুনঃনির্মাণ করা অতিব জরুরী। নির্মিত না হওয়ায় আমরা দীর্ঘদিন থেকে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি এবং এলাকাবাসী কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা ব্যবসায়ীরা নিজ অর্থায়নে কিছু কাঠ দিয়ে কোন ভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করেছি।

তবে ব্রীজটির পাশে অবস্থিত রেজ্জাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা, কেজি স্কুলে কোমলমতি শিশুদের  আসা-যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রীজটি নির্মাণের ব্যাপারে বদলকোট ইউপি চেয়ারম্যান সোলায়মান শেখ জানান, 'আমি এই ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি।' এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত আলী পাটোয়ারী জানান,' ব্রীজটি সরজমিনে তদন্ত করা হয়েছে এবং এই ব্রীজটি পুন:নির্মাণের জন্য জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'