চিয়া সীড সব ধরণের আবহাওয়ায় হয় এবং এতে পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন হয় না। চিয়া বীজ সাদা ও কালো রং এর এবং তিলের মত ছোট সাইজের হয়। এখানে উল্লেখ্য যে চিয়া সীড এবং তোকমা নিয়ে একটি ভুল ধারণা আছে। অনেকেই তোকমাকে ভুল করে চিয়া সীড মনে করেন। চিয়া সীড তোকমার চেয়ে সাইজে ছোট, তবে এ দু’টোর পুষ্টিগুণ প্রায় একই। তোকমার ইংরেজি নাম ব্যাসিল সীড (Basil seed)।চিয়া একটি সুপার সীড যাতে আছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড; কোয়েরসেটিন (Quercetin) কেম্পফেরল (Kaempferol) ক্লোরোজেনিক এসিড (Chlorogenic acid) এবং ক্যাফিক এসিড (Caffeic acid) নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট; পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ (ফাইবার)।
চিয়া সীডের পুষ্টিগুণ :
দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশী ক্যালসিয়াম
কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি
পালং শাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশী আয়রন (লোহা)
কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম
স্যামন মাছের থেকে ৮ গুণ বেশী ওমেগা-৩
চিয়া বীজের ব্যবহার :
চিয়া সিড সরাসরি যে কোন ফলের স্মুদি বা জুসের সাথে পান করা যায়। শুধু পানিতে মিশিয়েও পান করা যায়। চিয়া বীজের নিরপেক্ষ স্বাদের কারণে এটা সব ধরনের খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ার উপযুক্ত। বেক করা খাবার (বিস্কুট, কেক ইত্যাদি), সুপ, সালাদ ইত্যাদির সাথে মিশিয়েও চিয়া সীড খাওয়া যায়। সুপারফুড চিয়া সীডের ১৫টি উপকারিতা
১। এটা শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে
২। চিয়া সীড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে
৩। চিয়া বীজ ওজন কমাতে সহায়তা করে
৪। চিয়া সিড ব্লাড সুগার (রক্তের চিনি) স্বাভাবিক রাখে, ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়
৫। চিয়া বীজ হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ উপকারি
৬। চিয়া সিড মলাশয় (colon) পরিষ্কার রাখে ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
৭। চিয়া সিড শরীর থেকে টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) বের করে দেয়
৮। চিয়া সীড প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে
৯। চিয়া সীড ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে
১০। চিয়া বীজ ক্যান্সার রোধ করে
১১। চিয়া সিড হজমে সহায়তা করে
১২। চিয়া বীজ হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করে
১৩। চিয়া সীড এটেনশান ডেফিসিট হাইপার এক্টিভিটি ডিসর্ডার (Attention deficit hyperactivity disorder ADHD) দূর করে
১৪। চিয়া সিড ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে
১৫। চিয়া সীড গৃহপালিত পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়
ওজন কমাতে চিয়া সীডের পানি :
১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ চিয়া বীজ দিয়ে নেড়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে ছেঁকে নিয়ে পানি পান করুন। স্বাদ বাড়াতে চাইলে এতে লেবুর রস, কমলার রস, গোল মরিচ গুড়ো, বা মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।