ঐ ভক্ত জানান তিনি যখন হাত দিয়ে ধরছিলেন তখন তাঁর হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত মহিলা।পরবর্তীতে আয়োজক কমিটির সদস্যরা অভিযুক্তদের আটক করেন। জগন্নাথ জিঁউ মন্দিরের পরিচালনা কমিটির সম্পাদক বিজয় তালুকদার এবং কীর্ত্তন কমিটির সম্পাদক সুব্রত বণিক অভিযোক্তদের কাছ থেকে যথাযথ মন্তব্য না পাওয়ায় এবং তাঁদেরকে নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তারা থানায় খবর দেন। পরে থানা থেকে তিন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যান।
আয়োজক কমিটির সদস্য গোবিন্দ চক্রবর্তী জানিয়েছেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কমিটির পক্ষ থেকে।অভিযুক্তরা চুরির সাথে সংশ্লিষ্ট নয় বলে দাবি করেছেন।অভিযুক্তদের কাছে পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানায় তাদের বাড়ি শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া। অভিযুক্ত দু'জনের নাম ঝর্না রানী মালাকর ও রাশিদা দেব ( তবে তারা একেক সময় একেক নাম বলেছে)। তাছাড়া তারা পরিচিত কারো নাম বলতে পারেনি এবং যোগাযোগের জন্য কোনো ফোন নাম্বারও দিতে পারে নি। তাই পরিচয়টি সঠিক বলে মনে হয়নি আমাদের। কেন সুনামগঞ্জ এসেছিলেন জানতে চাইলে, তারা জানায় পূর্ব মানত কার্য সম্পাদন করতে আজ সকালেই এখানে এসেছে।
সন্ধান নিয়ে আরো জানা যায় গতকাল রাত্রে বেশ কয়েটি দোকানেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। কীর্ত্তন কে কেন্দ্র দোকান নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরা এমন অভিযোগ করেছেন। ঐ সময়েই আরেকজন মহিলা জানিয়েছেন তাঁর গলায় থাকা একটি চেইনও চুরি হয়েছে। এমতাবস্থায় ভক্তদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে তারা কীর্ত্তনে এসেও নিজেদের অলঙ্কার নিয়ে চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান। ভক্তরা মন্দিরে নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ কে আরো তৎপর হওয়ার আহবান জানিয়েছে কীর্ত্তন পরিচালনা কমিটি।