’এই খালটি থেকে প্রায় ৫০ফুট গভীর করে মাটি উত্তোলন করায় পাকা রাস্তার ঢাল দশে পরা সহ বসত ঘরের মাটি ফাটল হয়ে গেছে। এছাড়াও খালের দুই পাশে বসত ঘর দশে পড়ার হুমকিতে রয়েছে প্রায় এক’শ পরিবার।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাইনুদ্দিন খাল নামের একটি সরকারি খালে ড্রেজার বসিয়ে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এতে খালপাড়ের বসত ঘর ফাটলসহ পাকা রাস্তার ঢাল ধসে পড়তে দেখা গেছে। জানা গেছে উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আল ইমরান (প্রিন্স) খালটিতে অবৈধভাবে দুইটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রায় তিনমাস ধরে দিনে-রাতে মাটি কেটে পাইপের সাহায্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন এসব মাটি ।

সরেজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাছ চাষের নামে দীর্ঘদিন খালটি দখলে রেখেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। কিন্তু গত তিনমাস আগে ওই খালে দুটি ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের কাজ শুরু করলে স্থানীয় খাসপাড়ার বসতিরা বাধা প্রদান করেও মানাতে পারেননি খমতাধর চেয়ারম্যানকে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মন্জু,কামাল, দুলালসহ অনেকেই জানান, ’এই খালটি থেকে প্রায় ৫০ফুট গভীর করে মাটি উত্তোলন করায় পাকা রাস্তার ঢাল দশে পরা সহ বসত ঘরের মাটি ফাটল হয়ে গেছে। এছাড়াও খালের দুই পাশে বসত ঘর দশে পড়ার হুমকিতে রয়েছে প্রায় এক’শ পরিবার।

ইতোমধ্যেই ইউপি চেয়ারম্যান লাখ-লাখ টাকার মাটি বিক্রি করার প্রমাণ মিলেছে এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সরকারি রাস্তা ও স্থানীয়রা। ফাটল হওয়া বসতঘরের নাজমা বেগম জানান, আমার স্বামী দিনমজুর হিসেবে মানুষের কাজ করে যা আনে তাদিয়ে তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটে আমাদের। চেয়াম্যান মাটি কাটার কারণে আমার বসত ঘর ফাটল হয়ে গেছে এখন তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি কখন দশে পড়ে ঘরটি। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আল ইমরান (প্রিন্স) কে মুঠোফোনে একাধিক ফোন দিলেও তিনি কথা বুঝা যায় না বলে ফোন কেটে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-নোমান জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।