জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে “জুলাই ঘোষণাপত্র: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা” শীর্ষক এক বিশেষ আলোচনা সভা। রবিবার (২২ জুন ২০২৫) সিএসই বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) আয়োজিত এ আলোচনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ছাত্র সংগঠনের সমন্বিত সহাবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। রাজনৈতিক দলসমূহ নিজেদের আদর্শিক অবস্থান বজায় রেখেই সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করবে বলে আমরা আশাবাদী।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক এবং ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুল হক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানা।
অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন বলেন, “জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি না পেলে আমরা কেউই নিরাপদ নই। শহিদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। এই বিপ্লব যেন ভবিষ্যতে ‘মবোক্রেসি’ হিসেবে ইতিহাসে পরিচিত না হয়, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের উত্থান রোধে আমাদের করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। অবৈধ নির্বাচন ও বিচারব্যবস্থার ধ্বংসের মধ্য দিয়েই ফ্যাসিবাদ জন্ম নিয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে লক্ষ্যে জবাবদিহিতামূলক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা জরুরি।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যারা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। সবাই একমত হন যে, জুলাই বিপ্লব কেবল একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, বরং তা একটি মূল্যবোধভিত্তিক গণজাগরণ—যার সঠিক মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি সময়ের দাবি।