বাংলাদেশের সর্বমোট ৬৫২ টি থানার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি থানা হচ্ছে চৌদ্দগ্রাম থানা। দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪৩ কিলোমিটার বড় অংশ জুড়েই এই চৌদ্দগ্রাম থানা। তাই অন্যান্য স্থান থেকে চৌদ্দগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেশি, এইছাড়াও এটি বাংলাদেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ একটি উপজেলা। বিগত জুলাই আগস্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে অত্যন্ত পেশাদারিত্ব এবং ধর্য্যশীলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সারা দেশে বিভিন্ন থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ হলেও চৌদ্দগ্রামের বড় একটা অংশ থানা পুলিশকে সহযোগিতা করে এবং অনেকেই রাষ্ট্রীয় সম্পদ থানা রক্ষায় এগিয়ে আসে। বর্তমানে চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে নিযুক্ত জনাব নিশাত তাবাসসুম। জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে চৌদ্দগ্রাম থানাকে জনগণের দারপ্রান্তে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এই বিষয়ে উনার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, " পুলিশ জনগণের বন্ধু তখনই হতে পারবে যখন জনগন আইনের প্রতি যথাযথা শ্রদ্ধাশীল হবে।এছাড়াও অপরাধ দমনের পাশাপাশি অপরাধ প্রতিরোধের ব্যাপারে অধিকতর সচেতন হওয়ার মাধ্যমে জনমনে স্বস্তি ফেরাতে পারলেও জনগন পুলিশকে পজিটিভলি গ্রহণ করবে। কাজেই সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে পুলিশিং কার্যক্রমকে চালিয়ে নেয়া আমাদের প্রধাণ লক্ষ্য। বর্তমানে চৌদ্দগ্রামের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্তিতি অন্য যেই কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি স্থিতিশীল এবং আগামীতেও পুলিশ জনগণের এই সুসম্পর্ক আরো বেশি এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ করেন তিনি। এইছাড়া চৌদ্দগ্রাম থানার নবনিযুক্ত ওসি মোহাম্মদ হিলালউদ্দীন আহমেদ স্যারের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি আশ্বস্ত করেন যেই কোনো প্রয়োজনে জনগণ যেনো কোনো প্রকার কালক্ষেপন না করে অতি দ্রুত থানায় এসে পুলিশের সাহায্য নেয়, উনার পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে সকল প্রকার সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পুলিশ জনগণের বন্ধু ও জনগন পুলিশের শক্তি। তাই নতুন পুলিশকে মানবিক পুলিশ হিসেবেই দেখতে চায় চৌদ্দগ্রামের ছাত্র জনতা এবং সর্বস্তরের মানুষ। আশা করা যায় বাংলাদেশের অন্য সকল থানাও চৌদ্দগ্রাম থানার মতো জনগণের কাছে তাদের সেবারমান বাড়িয়ে এমন পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতা দিয়ে জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে নতুন বাংলাদেশকে।