গতকাল বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে উপজেলার ১ হাজার ১শত নিবন্ধিত জেলেদের মাঝ থেকে প্রথম পর্বে ২৯৩ জন জেলের মাঝে প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসের ৮০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন ও ইউপি সদস্যদের যোগসাজশে প্রত্যেক জেলেকে ৫ থেকে ১০ কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী সওদাগার ও জামাল হোসেন নামে দুই জেলে বলেন, আমরা সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা মেনে নদীতে ঝাটকা ইংলিশ ধরা বন্ধ রাখি। সংসার চলে না।
সন্তানদের নিয়ে খুবই কষ্টের মধ্যে আছি। এরপর দুই মাসের ৮০ কেজির চালের মধ্যে দেওয়া হচ্ছে ৭০-৭২ কেজি। এ অনিয়মের বিচার করবে কে? বাঘুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন- অসহায় গরীব জেলেদের চাল কম দেওয়ার কথা শুনা মাত্রই আমি চলে এসেছি। এখানে প্রতি জেলেকে ১০ কেজি করে চাউল কম দেওয়া হচ্ছে। এ অনিয়ম মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর সঠিক বিচার দাবী করছি। ওয়ার্ড মেম্বার আমিনুল ইসলাম বলেন এখানে এখানে দশটা টিপসই দিলে কোন সমস্যা নেই।
চাল কম দেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার উপজেলা দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা শিবালয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের জনবল খুব কম এজন্য আমরা এ বিষয়ে সব সময় খোঁজ খবর রাখতে পারি না। কিন্তু জেলেদেরকে চাল কম দেয়ার কোন সুযোগ নেই। ঘটনার বিষয়ে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন বলেন, প্রশাসনের কয়েকজন উপস্থিত থেকে প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে চাল কম দেয়ার কথা বলেছেন। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবিদা সুলতানা মুক্তা জানান, জেলেদের চাল দেওয়ার ব্যাপারে কোন অনিয়মের অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।