প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও প্রকল্প প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে জামালপুর সদর উপজেলা বাঁশচাড়া ইউনিয়নে ২২-২৩ অর্থবছরে অতি হতদরিদ্র ১২০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি)র বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ অর্ধ কোটি টাকা লোপাট করেছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা । জানা যায় ২০২২- ২৩অর্থবছরে বাঁশচড়া ইউনিয়নে মোট পাঁচটি প্রকল্পের বরাদ্দ ৫০,০৫,৫৬৫ টাকা। গৃহীত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, *) মোহনপুর রতন রবিদাসের বাড়ি হতে জনাব আলী পুলিশের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। উক্ত রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে ১ ফুট ডায়া রিং পাইপ স্থাপন। ৭৪জন শ্রমিকের অনুকূলে বরাদ্দ ১১,৮৪০০০/=টাকা। পাইপ স্থাপনা বাবদ বরাদ্দ ৬১,১৭৬ /= টাকা। *) নবাবপুর মকবুলের বাড়ি হতে গোরস্থান সংস্কার সহ আ: রহমানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। ৩৯ জন শ্রমিকের অনুকূলে বরাদ্দ ৬,২৪০০০/=টাকা। *) ফরিদপুর খোকনের বাড়ি হতে কাঁশারুপাড়া মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। ৭৪ জন শ্রমিকের অনুকূলে বরাদ্দ ১১,৮৪০০০/=টাকা। *) বৈঠামারি আ: কাদেরের বাড়ি হতে কদমতলা হয়ে বৈঠামারি আ: রহিমের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। উক্ত রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে ১ ফুট ডায়া রিং পাইপ স্থাপন।
৬১জন শ্রমিকের অনুকূলে বরাদ্দ ৯,৭৬০০০/=টাকা। *) পূর্ব বাঁশচড়া আওয়ামীলীগ বাজার থেকে দুর্বাকড়ী আ: রহমান মুন্সির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। উক্ত রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে ১ ফুট ডায়া রিং পাইপ স্থাপন। পাঁচটি প্রকল্পের সর্বমোট বরাদ্দ ৫০,০৫,৫৬৫ /= টাকা। উক্ত প্রকল্প গুলোর কোন কাজ না করেই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ও প্রকৌশলী মুনিরা বেগম কে ম্যানেজ করে সমুদয় টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে জানা যায়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রকল্পের কোন সাইনবোর্ড নেই, এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন এই রাস্তাগুলোর কোথাও বিন্দু পরিমাণ মাটি পড়ে নাই বা কর্মসূচির কোন কর্মীরা এখানে কাজ করে নে। ফরিদপুর খোকনের বাড়ি হতে কাঁশারুপাড়া মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। ৭৪ জন শ্রমিকের অনুকূলে বরাদ্দ ১১,৮৪০০০/=টাকা। ও বৈঠামারি আ: কাদেরের বাড়ি হতে কদমতলা হয়ে বৈঠামারি আ: রহিমের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। উক্ত রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে ১ ফুট ডায়া রিং পাইপ স্থাপন।
৬১জন শ্রমিকের অনুকূলে বরাদ্দ ৯,৭৬০০০/=টাকা। পাইপ স্থাপন বরাদ্দ৬১১৭৬ । এই প্রকল্প দুটির সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় এ রাস্তায় কোন ডায়া রিং পাইপ স্থাপন করা হয়নি। উক্ত প্রকল্পের সভাপতি সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ছাহেরা বেগমকে ফোনে প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন কোন প্রকল্পের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা । আমি নামে মাত্র সভাপতি সব চেয়ারম্যান ভালো বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, সদরের ১৫ টি ইউনিয়নের চাইতে আমার ইউনিয়নে ভালো কাজ হয়েছে, আর এই ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন ,প্রকল্প প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, তারা সবকিছুই জানেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের তথ্য অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ও প্রকল্প প্রকৌশলী মুনিরা বেগমকে ফোনে, অনলাইনে ও অফিস টাইমেও তাদের পাওয়া যায়নি । এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।