কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শতবর্ষীয় ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাপুর কমলাকান্ত একাডেমী ও কলেজে নতুন সভাপতি মহোদয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শতবর্ষীয় ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাপুর কমলাকান্ত একাডেমী ও কলেজে নতুন সভাপতি মহোদয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব, মুরাদনগর উপজেলা সদরের কৃতিসন্তান জনাব খন্দকার নুরুল হক নতুন সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহন করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানটির।নতুন সভাপতির দায়িত্ব গ্রহনের দিন তিনি প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষকমন্ডলীর নিকট তাঁর প্রত্যাশা, সওততার সহিত কাজ করা, এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কে সন্তানের মত করে দেখা, এই বিষয়ে শিক্ষকদের বুকে হাত দিয়ে প্রতিজ্ঞা করান,এবং  সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ শরীফ মীর, সৈয়দ হাসান মীর, হেলাল সরকার, কামাল মেম্বার, মানিকচাঁদ, মোকবুল, হাবিব,  রাহাত, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  প্রতিষ্ঠানটির গুনগত মানউন্নয়নয়নের লক্ষ্য আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।শতবর্ষী এ বিদ্যাপীঠের সভাপতিত্ব গ্রহনে অনূভূতি জানতে চাইলে জনাব খন্দকার নুরুল হক বলেন,'প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ ও পরিবেশগত উন্নয়নের লক্ষ্য এলাকাবাসী, শিক্ষকমন্ডলীসহ, সংবাদমাধ্যমকর্মীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণমূলক প্রচেষ্টা দরকার।তিনি আরো বলেন, শিক্ষার মানউন্নয়নে শিক্ষকদেরকেও সঠিক মর্যাদা প্রদান বিষয়টি অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করবে'।
তিনি মুরাদনগর উপজেলা সদরের সুপ্রাচীন বিদ্যাপীঠ মুরাদনগর ডিআর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাফল্যের সাথে ১৯৯১ সালে  এসএসসি ও কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি  কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে সাফল্যের সাথে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।পরবর্তীতে, তিনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাফল্যের সাথে গ্রন্থাগারিক বিজ্ঞান বিষয়ে স্মাতক ও স্মাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা(বিসিএস)এর মাধ্যমে প্রশাসনে ক্যাডারে যোগদান করেন এবং বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব হিসাবে কর্মরত আছেন।জনাব খন্দকার নুরুল হক, এই জনপদের অন্যতম সুপ্রাচীন বিদ্যাপীঠ জাহাপুর কেকে একাডেমী ও কলেজের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করায় অত্র এলাকাবাসী, এডহক কমিটির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলীসহ সকলেই অত্যন্ত আনন্দিত ও আশাবাদী যে,অবকাঠামো, পরিবেশগত তথা সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে এলাকাবাসির প্রত্যাশা।