ঝালকাঠি ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভায় প্রশাসনিক বিধি উপেক্ষা করে একাধিক ধাপ পেরিয়ে সাঁটলিপিকার পদে পদোন্নতির অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার কর্মচারী মোঃ জাকির হোসাইনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি জাল সনদ ব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূতভাবে পদোন্নতি লাভ করেছেন, যা পৌরসভার গঠনতন্ত্র ও সরকারি নিয়োগবিধির পরিপন্থী।
জানা গেছে, মোঃ জাকির হোসাইন প্রথমে ভোলার লালমোহন পৌরসভায় নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে বদলির মাধ্যমে একই পদে ঝালকাঠি পৌরসভায় আসেন। অথচ অভিযোগে বলা হয়, তখন ঐ পদে দুজন স্থায়ী কর্মকর্তা (মোঃ আঃ মতিন খান ও সাহিদা পারভীন) কর্মরত ছিলেন। এই অবস্থায় তৃতীয় একজনকে নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নেন।
এ বিষয়ে পৌরসভার বর্তমান সাঁট মুদ্রাক্ষরিক মোঃ শেখ আহমেদ সেলিম বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০৯ সালে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যানকে বিভ্রান্ত করে জাল সনদের মাধ্যমে তিনি সরাসরি পদোন্নতি লাভ করেন, যা প্রচলিত বিধি অনুযায়ী সম্পূর্ণ অনিয়ম।
মোঃ শেখ আহমেদ সেলিম বলেন,
"পৌরসভার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমি পদোন্নতির যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। ২০১৩ সাল থেকে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও প্রতিকার পাইনি। তাই পুনরায় আমি সুষ্ঠু তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছি।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুদ্দোজা হারুন জানান,
"পৌর প্রশাসক মহোদয় তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। আমি সে অনুযায়ী প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।"
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে পৌরসভার অভ্যন্তরে স্বচ্ছতা, নিয়োগপ্রক্রিয়ায় জবাবদিহিতা এবং জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক উদ্যোগ জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।