পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে আগত মিজান পরিবহনের একটি যাত্রী বাহী বাস ষাইটপাকিয়ার মেসার্স আনযার ফিলিং ষ্টেশনের এসে উল্টে যায়।

বরিশাল ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস উল্টে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গাড়ীর সুপারভাইজার ও চালক রয়েছেন বলে জানা গেছে। গত  রবিবার বিকেলে বরিশাল ঝালকাঠি আঞ্চলিক মহাসড়কের ষাইটপাকিয়া নামক স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসেছিল। পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে আগত মিজান পরিবহনের একটি যাত্রী বাহী বাস ষাইটপাকিয়ার মেসার্স আনযার ফিলিং ষ্টেশনের এসে উল্টে যায়। এ সময় বাসের অতিরিক্ত গতি ছিল জানিয়েছেন যাত্রীরা।

ঘটনার পর বাসটির পিছনের অংশ দুমড়েমুচড়ে আড়াআড়িভাবে সড়কে পরে থাকে। বাসটিতে থাকা ৩০জন যাত্রীর ভিতর ২০জন আহত হয়। যার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর তাদেরকে বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্যদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী মটরসাইকেল আরোহী বলেন, বাসের সুপারভাইজারে ডান পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন,অতিরিক্ত গতি নিয়ে বাক নিতে গিয়ে চালক আর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারেননি। যার কারণে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছের সাথে পিছনের অংশের ধাক্কা লাগলে বাসটি সড়কে আড়াআড়িভাবে কাত হয়ে পরে।

বাসের যাত্রী সুমি আক্তার জানান, আমি রাজাপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে মাওয়া থেকে এই গাড়ীতে উঠি। বরিশাল সদরে আসার আগে সে খুবই ধীরে চালিয়েছে। এ নিয়ে যাত্রীরা তাকে বকুনি দিলে সে বরিশাল সদর পার হওয়ার পর বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকেন। এই বাঁকে এক্সিডেন্ট করার আগে পিছনে কয়েক জায়গায় এক্সিডেন্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মু.আতাউর রহমান জানান,দূর্ঘটনার শিকার বাসটি সড়িয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। আহদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।